Home> কলকাতা
Advertisement

জমা জলে ভোগান্তি-দুর্ভোগ শহরবাসীর, আঙুল উঠেছে পুরসভার সক্রিয়তার দিকে

নিম্নচাপের জেরে রাতভর তুমুল বৃষ্টি। গতকালই জলে ডুবে যাওয়া তিলোত্তমা, ডোবা নয়-কার্যত নদী হয়ে রইল আজও। জল নামতে বেলা পার। কোথাও সেটুকুও হল না। জমা জলে ভোগান্তি-দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই পথে নামতে বাধ্য হলেন শহরবাসী। আঙুল উঠেছে পুরসভার সক্রিয়তার দিকে।

জমা জলে ভোগান্তি-দুর্ভোগ শহরবাসীর, আঙুল উঠেছে পুরসভার সক্রিয়তার দিকে

ওয়েব ডেস্ক: নিম্নচাপের জেরে রাতভর তুমুল বৃষ্টি। গতকালই জলে ডুবে যাওয়া তিলোত্তমা, ডোবা নয়-কার্যত নদী হয়ে রইল আজও। জল নামতে বেলা পার। কোথাও সেটুকুও হল না। জমা জলে ভোগান্তি-দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই পথে নামতে বাধ্য হলেন শহরবাসী। আঙুল উঠেছে পুরসভার সক্রিয়তার দিকে।

কোনটা রাস্তা-কোনটা ফুটপাত, বোঝার উপায় নেই। কলকাতা জলে ডুবে।  মঙ্গলবারও একচুল কমল না ভোগান্তি। এদিন আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের অবস্থা এতটাই শোচনীয় হয়ে দাঁড়ায়, যে রীতিমতো নৌকো নামিয়ে যাতায়াতের বন্দোবস্ত করতে হয়। শহরের ব্যস্ত রাস্তার এই হাল অফিস টাইমেও। ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির সামনে, হাঁটু জল পেরিয়ে চলাফেরা। বিরক্তি চরমে ওঠে পথচারীদের মধ্যে। স্কুল পড়ুয়াদেরও ভোগান্তির একশেষ। স্কুলে যাবে কি! তার আগেই জলে ভিজে, হাল বেহাল।

একে জমা জল। তায় আবার দুর্ভোগের দোসর, গাছ পড়া। গাছ ভেঙে পড়ায় গড়িয়াহাট অঞ্চলে, সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় দুটি লেন। যার জেরে, যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। ওদিকে আবার দক্ষিণে, গড়িয়া-যাদবপুর ও বেহালার কিছু অংশেও দেখা যায় একই জল-যন্ত্রণার ছবি। ভিক্টোরিয়া এবং রেসকোর্সের মাঝের রাস্তাতেও জল জমে যায়। যানজটে সমস্যা আরও মারাত্মক চেহারা নেয়। 

টানা বৃষ্টি আর গঙ্গায় জোয়ার। সেকারণেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জমা জল, গঙ্গায় ফেলা যায়নি। পাম্পিং স্টেশনগুলিও বন্ধ ছিল। একারণেই দুর্ভোগ। দাবি পুরসভার। তবে গাফিলতি যে হয়েছে, তা কার্যত স্বীকার করে নিতে হয়েছে তাঁদেরও। লাগাতার বৃষ্টিতে জল থই থই ঠাকুরপুকুরও। জল জমে সেনপল্লি, অরবিন্দ পল্লি, বেগোর খাল, ব্রহ্মসমাজ রোড সহ বেশ কিছু জায়গায়। কেন বারবার এক দুর্ভোগ? কেন বদলায়না এই জল-ছবি? প্রশ্ন আমজনতার।

Read More