Home> কলকাতা
Advertisement

মীরা 'তেজ' আর নয়, তাই প্রথা ভেঙে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে সুশান্ত রঞ্জন

মীরা পাণ্ডের মতো আইএএস অফিসার আর নয়। প্রথা ভেঙে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আনা হল অবসরপ্রাপ্ত ডব্লু বি সি এস অফিসার সুশান্ত রঞ্জন উপাধ্যায়কে। আগামী বছর কলকাতসহ  প্রায় আশিটি পুরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা রাজ্যে। তার আগে কমিশনের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতেই কি এমন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার? তা নিয়েই সব মহলে জল্পনা তুঙ্গে।

মীরা 'তেজ' আর নয়, তাই প্রথা ভেঙে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে সুশান্ত রঞ্জন

কলকাতা: মীরা পাণ্ডের মতো আইএএস অফিসার আর নয়। প্রথা ভেঙে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আনা হল অবসরপ্রাপ্ত ডব্লু বি সি এস অফিসার সুশান্ত রঞ্জন উপাধ্যায়কে। আগামী বছর কলকাতসহ  প্রায় আশিটি পুরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা রাজ্যে। তার আগে কমিশনের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতেই কি এমন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার? তা নিয়েই সব মহলে জল্পনা তুঙ্গে।

মীরা পাণ্ডে। রাজ্যের এই নির্বাচন কমিশনার গত বছরের গোড়া থেকেই রাজ্য প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠেন। নির্বাচন কমিশনার পদটির সাংবিধানিক গুরুত্বই  মানতে চায়নি তৃণমূল সরকার। দফায় দফায় সংঘাত চরমে ওঠে।

গতবছর পঞ্চায়েত নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে করার জন্য রাজ্যকে তিনবার চিঠি দেন মীরা। কিন্তু কোনও উত্তরই দেননি মুখ্যসচিব।

মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে জানান, পুজোর পর হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন আপত্তি করেন মীরা পাণ্ডে। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনি বহাল নিয়েও মতান্তর চরমে ওঠে।  হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নির্বাচন কমিশনার। সিঙ্গল বেঞ্চে জিতলেও ডিভিশন বেঞ্চের রায় তাঁর বিপক্ষে যায় অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে জয়ী হন মীরা পাণ্ডে।

চলতি বছরে ১৭ টি পুরসভার নির্বাচন নিয়েও ফের সংঘাত বাধে। মে মাসে রাজ্য নির্বাচন না করায় ফের আদালতে যান মীরা। প্রথা অনুযায়ী সব রাজ্যেই নির্বাচন কমিশনারের পদে প্রাক্তন মুখ্যসচিব বা সমপর্যায়ের অফিসারদেরই বহাল করা হয়। এই প্রথম ডব্লু বি সি এস নিয়োগ করে এই সাংবিধানিক পদটির গুরুত্বই কমিয়ে দিল রাজ্য সরকার।

Read More