ওয়েব ডেস্ক: খোঁজ মিলছে না মোবাইলের.. উধাও মলয়বাবুর ব্রিফকেসও। নিউ আলিপুর বৃদ্ধ খুনে প্রতি পরতে রহস্য। কেন কম দামি অ্যানালগ ফোন নিয়ে চম্পট দিল আততায়ীরা? কি ছিল বৃদ্ধের ব্রিফকেসে? মলয়বাবুর ছেলে..ছেলের বউ ও মেয়েকে জেরা করে রহস্য ভেদের চেষ্টায় পুলিস।
অভিজাত পাড়া... ঘরের মধ্যে খুন... উধাও মোবাইল.. ব্রিফকেস..অন্ধকারে আত্মীয় পরিজন... নিউ আলিপুরে বৃদ্ধ খুনের প্রতি পরতে রহস্য। তদন্তকারীদের দাবি.. শনিবার রাত ২টে থেকে ৩টের মধ্যে খুন হয় মলয় মুখোপাধ্যায়। তারপরই বন্ধ হয়ে যায় তাঁর ফোন। পুলিসের দাবি... মলয় মুখার্জিকে খুনের পর ঘটনাস্থলে তাঁর সেলফোন সুইচড অফ করে দেয় আততায়ীরা
মলয়বাবু অত্যন্ত কম দামি অ্যানালগ ফোন ব্যবহার করতেন। সেই ফোন কেন নিজেদের সঙ্গে নিয়ে গেল আততায়ীরা? তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন.... যে মোবাইলের বাজার দর ৫০০-১০০০ টাকা, তা কেন নিয়ে গেল খুনিরা? তবে কি ফোনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনও তথ্য সেভ ছিল? সেলফোনের পাশাপাশি, খোঁজ মিলছে না মলয়বাবুর ব্রিফকেসেরও। মলয়বাবুর ঘরে একটি ব্রিফকেস রাখা ছিল। খুনের পর থেকে উধাও সেই ব্রিফকেস। ব্রিফকেসে কী রাখা ছিল তা জানে না পরিবার।
রহস্যজাল বৃদ্ধের শোওয়ার ঘর ঘিরেও। রবিবার ভোরে যে ঘরে রক্তাক্ত মলয়বাবুর দেহ মেলে সেখানে তিনি প্রতিদিন শুতেন না। বরং পাশের অন্য একটি ঘরে ঘুমোতেন তিনি। বৃষ্টি হলে মলয়বাবুর বেডরুমে জল চুঁইয়ে পড়ত। সেজন্য বৃষ্টি হলে ঘর বদল করতেন মলয়বাবু। শনিবার রাতে বৃষ্টি হয়নি, তারপর কেন ঘর বদল? যে ঘরে মলয়বাবু ঘুমোন, সেখানে রাখা থাকত ব্রিফকেস। তবে, কী বিশেষ কিছু আঁচ করেই সেরাতে বেডরুম বদল করেন মলয়বাবু?
বৃদ্ধ মলয়বাবুর ঘরে খুব দামি কিছু ছিল না। তবে, কেন আততায়ীরা ওই ঘরে ঢুকল? এদিনও নিউ আলিপুরের O ব্লকে যান DC DD 2 রূপেশ কুমার। OC হোমিসাইড ও OC বার্গালারি। লুঠের উদ্দেশ্যেই খুন ? নাকি পুলিস বিভ্রান্ত করতেই আলামারি-দেরাজে সাজানো লুঠপাট, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। জেরা করা হচ্ছে মলয়বাবু ছেলে-ছেলের বউ ও মেয়েকে। তবে, এখনও পর্যন্ত তদন্ত যতদূর গড়িয়েছে তাতে পুলিস নিশ্চিত, বৃদ্ধের বাড়ির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রহস্যের চাবিকাঠি।