Home> কলকাতা
Advertisement

Naushad Siddiqui: 'কংগ্রেস, সিপিএমের মধ্যে অনেকেই জোট চাননি', বিস্ফোরক নওশাদ!

বাংলায় যখন ৪২ আসনে একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তৃণমূল, তখন জোট বেঁধেছিল কংগ্রেস ও সিপিএম। কিন্তু সেই জোটে ছিল না ISF। একতরফাভাবেঅ ১২ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছিল তারা।  নওশাদের দাবি, 'প্রথমে তো অধীরবাবু বেরিয়ে গিয়েছিল, তারপর বামেরা আমাদের সঙ্গে জোট করেনি। অনেকে হয়তো তৃণমূলের ২৯টা পাইয়ে দেওয়ার জন্য় রাজনীতি করেছে। যাঁরা জোট করতে চায়নি। কারণটা কী , সেটা তো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে'।

Naushad Siddiqui: 'কংগ্রেস, সিপিএমের মধ্যে অনেকেই জোট চাননি', বিস্ফোরক নওশাদ!

শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে তৃণমূল ২৯, আর বিজেপি ১২। 'কংগ্রেস, সিপিএমের মধ্য়ে অনেকেই জোট চাননি', বিস্ফোরক নওশাদ সিদ্দিকী।  বললেন,  'চেয়েছিলাম জোট, জোট হলে তো বিজেপি ১২টা, তৃণমূল ২৯টা সিট পেত না। জোটেই বেশি সংখ্য়ায় সিট পেতাম, কিন্তু অনেকে চায়নি'।

আরও পড়ুন:  Kasba: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গুলি-বোমার লড়াইয়ে রণক্ষেত্র কসবা ইন্দুপার্ক, গ্রেফতার ৫

ঘটনাটি ঠিক কী? বাংলায় যখন ৪২ আসনে একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তৃণমূল, তখন জোট বেঁধেছিল কংগ্রেস ও সিপিএম। কিন্তু সেই জোটে ছিল না ISF। একতরফাভাবেঅ ১২ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছিল তারা।  নওশাদের দাবি, 'প্রথমে তো অধীরবাবু বেরিয়ে গিয়েছিল, তারপর বামেরা আমাদের সঙ্গে জোট করেনি। অনেকে হয়তো তৃণমূলের ২৯টা পাইয়ে দেওয়ার জন্য় রাজনীতি করেছে। যাঁরা জোট করতে চায়নি। কারণটা কী , সেটা তো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে'।

নওশাদের কথায়, 'এমন অনেক সিট আছে, যেখানে ভোট কাটাকাটিতে বিজেপি জিতেছে। না হলে বিজেপি ১০টায় নেমে যেত, ৮টা নেমে যেত। তৃণমূল কংগ্রেস আরও নীচে নেমে যেত। ২৯ টা কেন, ২০ টপকাতে পারত না, যদি আমরা জোট করতাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সেটা হয়নি'। 

আরও পড়ুন:  WB Bypoll 2024: জুলাইতেই রাজ্যে ফের ভোট, দিনক্ষণ ঘোষণা কমিশনের!

এদিকে তখনও লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা  হয়নি। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন নওশাদ। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো, তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডায়মন্ড হারবার থেকে হারিয়ে, পরাজিত এমপি করে কালীঘাটে পাঠাব'। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর লোকসভা ভোটে লড়েননি ভাঙড়ের বিধায়ক।

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, 'প্রথম যে লোক ভোট ঘোষণার আগে বাজার গরম করেছিল দাঁড়াবে বলে, তিনি নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি মাঝ রাস্তা থেকে চলে গিয়েছেন। দাঁড়াবেন বলেছিলেন, কার কথায় চলে গেলেন?  নিশ্চয়ই সিপিএমের কথা নয়। সিপিএমও সমর্থন করবে বলে ঘোষণা করেছিল, কংগ্রেসও সমর্থন করবে বলে ঘোষণা করেছিল। তৃণমূলের যাতে অসুবিধা না হয়, এটা যাঁরা দেখতে চাইছিলেন,তাঁরা নওশাদ সিদ্দিকীর কাজে খুশি হয়েছিলেন'।

দমদমে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী ছিলেন সুজন। তাঁর মতে, 'তৃণমূল বা বিজেপির বিরুদ্ধে সব ভোটকে একজায়গায় রাখতে না পারার মতো মনোভাব কারও কারও কাজ করে। সেটা কাজ করলে বোঝা উচিত দায় কার! অন্য কারও ঘাড়ে দোষ দিয়ে লাভ হবে না'।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More