সুতপা সেন: ফের নতুন জেলা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। ৭-৭টি নতুন জেলা ঘোষণা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নতুন জেলা করার কথা ঘোষণা করলেন মমতা। কী কী নতুন জেলা হচ্ছে? নতুন জেলা হচ্ছে সুন্দরবন, বসিরহাট, বিষ্ণুপুর, ইছামতী, রানাঘাট, বহরমপুর ও কান্দি। বনগাঁ-বাগদা মিলিয়ে ইছামতী জেলা। এর পাশপাশি, বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক মাত্রায় সাংগঠনিক রদবদলও করেন তৃণমূল নেত্রী। উত্তর ২৪ পরগণা বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বদল। নয়া সভাপতি হলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এই দায়িত্বে ছিলেন অশনি মুখোপাধ্যায়। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান ছিলেন শঙ্কর দত্ত। তাঁর জায়গায় নয়া দায়িত্বে আনা হল শ্যামল রায়কে। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ছিলেন গোপাল শেঠ। নয়া দায়িত্বে আনা হল বিজেপি থেকে ফেরত আসা বিশ্বজিৎ দাসকে।
সুব্রত মুখোপাধ্য়ায় ও সাধন পাণ্ডের মৃত্যু এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে যাওয়ার পর এবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ৩-৪ মন্ত্রীকে সরিয়ে তাদের সংগঠনের কাজে লাগানো হবে। পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় আনা হচ্ছে ৫-৬ নতুন মুখ। সেই দলে কারা রয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী বুধবার এই নিয়ে ঘোষণা করে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "অনেকে অনেকরকম খবরের কাগজে লিখছেন। মন্ত্রিসভা ভেঙে নতুনভাবে গড়া হবে এমন কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। তবে একটা রদবদল করতে হবে। সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়, সাধন পান্ডে মারা গিয়েছেন। পার্থ চ্য়াটার্জি জেলে রয়েছেন। এদের কাজগুলো কে করবে? কাউকে না কাউকে তো করবে হবে? বেশ কয়েকটি মন্ত্রী পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সুব্রতদা পঞ্চায়েত দেখেতেন, পিএইচই দেখতেন, সাধন পান্ডে সেলফ হেলফ গ্রুপ দেখতেন, পার্থ ইন্ডাস্ট্রি দেখতেন। পরশু বিকেল চারটেয় একটা ছোট রদবদল ঘোষণা করা হবে। মন্ত্রিসভায় রয়েছেন এমন ৪-৫ জনকে দলের কাজ লাগাব। নতুন ৫-৬ জনকে নিয়ে আসা হবে।"
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই একটা জল্পনা ছিল যে রাজ্য মন্ত্রিসভায় কিছু নতুন মুখ আনা হতে পারে। আলোচনায় রয়েছেন পার্থ ভৌমিক ও বাবুল সুপ্রিয়র মতো বিধায়করা। নাম উঠে আসছে তাপস রায়েরও। তবে আজ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ৫-৬টি নতুন মুখ আনা হচ্ছে মন্ত্রিসভায়। কাজেই জেলা থেকে কয়েকজনকে নেওয়া হতে পারে এমনটা মনে করা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় খবর হল বর্তমান মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হচ্ছে ৩-৪ জনকে। কারা রয়েছেন সেই তালিকায় তা নিয়ে নতুন জল্পনা তৈরি হয়ে গেল। যাদের কাজের রিপোর্ট ভালো নয় বা যাদের সংগঠনের কাজে লাগালে ভালো ফল পাওয়া যাবে তাঁদেরই বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।