Home> কলকাতা
Advertisement

উচ্ছ্বাস নাকি ষড়যন্ত্র? মোদীর ব্রিগেডে বিশৃঙ্খলার জবাব হাতড়াচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব

প্রধানমন্ত্রীর সভায় উত্সাহী সমর্থকদের ভিড়।      

উচ্ছ্বাস নাকি ষড়যন্ত্র? মোদীর ব্রিগেডে বিশৃঙ্খলার জবাব হাতড়াচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব

অঞ্জন রায়

নরেন্দ্র মোদীর সভায় বিশৃঙ্খলা কি ষড়যন্ত্র না সমর্থকদের উত্সাহের বহিঃপ্রকাশ? তথ্য তালাশে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এর আগে ঠাকুরনগরের সভাতেও ব্যারিকেড পেরিয়ে এগিয়ে আসতে থাকেন সমর্থকরা। এরপর জলপাইগুড়িতেও একই ছবি। এদিন কলকাতায় ব্রিগেডেও ঘটল তাঁর পুনরাবৃত্তি। 

মেদিনীপুরে মোদীর সভায় ছাউনির একাংশ ভেঙে পড়ায় আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। অতিসম্প্রতি ঠাকুরনগরে মতুয়াদের সভাতেও লক্ষ্য করা গিয়েছিল বিশৃঙ্খলা। তড়িঘড়ি সভা শেষ করে দুর্গাপুরের সভার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর জলপাইগুড়ির সভাতেও একই ছবি। দেশের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব এসপিজি-র হাতে। একাধিকবার বাংলায় এই ধরনের ঘটনা ঘটায় চিন্তিত বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। বাঙালির আবেগ চিরন্তন। ১৯৯৬ সালে ইডেনে ভারত-শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনালেও গোটা দেশ দেখেছিল বাঙালির আবেগ। বিজেপি নেতারা পড়েছে দ্যোতানায়। সত্যিই কি সমর্থকদের উচ্ছ্বাস না বিরোধী শিবিরের ষড়যন্ত্র? কারণ, ভোটের আগে আরও কয়েক দফা রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রী।   

বুধবার ব্রিগেডে ভিড় বারবার এগিয়ে আসতে থাকে সামনের দিকে। বিজেপির স্বেচ্ছাসেবকদের নাজেহাল দশা হয়েছে। মঞ্চ থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন, লাঠি মারবেন না!    

এদিন মোদী সভামঞ্চে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাঁধা ভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে ওঠে গোটা ব্রিগেড। 'মোদী, মোদী' স্লোগান দিতে থাকেন সমর্থকরা। এমন শব্দব্রহ্ম দেখে নরেন্দ্র মোদীও মঞ্চের একেবারে সামনে এসে হাত নেড়েছেন। জানিয়ে দেন, এটা ঐতিহাসিক ব্রিগেড।

তবে একটা জিনিস স্পষ্ট, গোটা ভারতের মতো বাংলাতেও 'নমো' ক্রাউডপুলার। ব্রিগেডে সব বিজেপি কর্মীই জি ২৪ ঘণ্টাকে জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদীকে দেখতেই ব্রিগেডে আসা। 

আরও পড়ুন- তথ্য গোপন করে PAN কার্ড তৈরির অভিযোগ, অভিষেকের স্ত্রীকে নোটিস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

Read More