নিজস্ব প্রতিবেদন: অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah) পৌঁছনোর আগেই বিজেপি (BJP) নেতার মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেল কলকাতা পুলিস (KolKata Police)। শববাহী গাড়ি ঘিরে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ।
পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। দফায় দফায় সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা। বিজেপি কর্মীদের সরিয়ে বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃতদেহ নিয়ে গেল পুলিস। ময়নাতদন্তের জন্য আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে বিজেপি (BJP) নেতার মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত, বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে, সজল ঘোষ-সহ বিপুল সংখ্যক বিজেপি কর্মী। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয়। দফায় দফায় পুলিসের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায় মৃতের পরিবার এবং এলাকাবাসীরা। হায় হায়! স্লোগান দেওয়া হয়। ভিড়ের মধ্যে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি ওঠে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিসকে হাতে দেহ দিতে নারাজ পরিবার। কলকাতা পুলিসের (Kolkata Police) ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমারকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষজন।
জানা গিয়েছে, কাশীপুর রেল কোর্য়ার্টারের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে বিজেপির যুব মোর্চার নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁকে তৃণমূল খুন করেছে এমন অভিযোগ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। পরিবারের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের পর থেকে ঘর ছাড়া ছিলেন অর্জুন। তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পুলিসকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ বিজেপির। ঘটনাস্থলে যাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।