পিয়ালি মিত্র: শহরে হকার ইস্যুতে এবার কলকাতা পুরসভার সঙ্গে সংঘাতে কলকাতা পুলিস? হকারদের নিয়ন্ত্রণে পুলিসকে ব্যবস্থা নিতে বলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুলিস কোনও রাজনৈতিক দলের মুখাপেক্ষী নয়। পুলিসের একাংশের মদতে যেখানে সেখানে হকার বসছে। এমনই অভিযোগ মেয়রের। ওই অভিযোগ অসন্তুষ্ট কলকাতা পুলিস।
কলকাতায় হকার ইস্যুতে নেতাদের ভূমিকা সম্পর্কে সম্প্রতি ফিরহাদ হাকিম বলেন, রাজনৈতিক নেতারা কেউই চান না শহর নষ্ট হোক। মানুষের অসুবিধে হোক। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। পুলিসের একটা রুল বুক রয়েছে। তার মধ্যে কোনও রাজনৈতির বিষয় লেখা থাকে না।
আরও পড়ুন- চপ শিল্পকে অপমান কেন! গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের
উল্লেখ্য, লালবাজার সূত্রে খবর হকারদের যেখানে সেখানে বসে যাওয়া নিয়ে পুলিসকে চিঠি লিখেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি বহু থানার সামনে বাজেয়াপ্ত করা গাড়ি নিয়েও তিনি পুলিসকে চিঠি লেখেন। কারণ ওইসব জায়গায় মশা তৈরি হচ্ছে। রাস্তায় হকার বসা নিয়ে মেয়রের বক্তব্য, পুলিসের একাংশের নিষ্কৃয়তার কারণে বা তাদের মদতে বিভিন্ন রাস্তায় হকার বসছে।
মেয়রের ওই বক্তব্যের পাল্টা যুক্তি রয়েছে পুলিসের। লালবাজার সূত্রে খবর, গত ১ নভেম্বর কলকাতা পুরসভায় হকার ইস্যু নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে পুর কর্তৃপক্ষ,হকার ইউনিয়ন, ছাড়াও কলকাতা পুলিসের জয়েন্ট সিপি হেডকোয়াটার, ডিসি ট্রাফিক ২, উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, যে যে থানা এলাকায় হকার সমস্যা আছে সেখানে যৌথ ভাবে সার্ভে চালানো হবে। সেই সার্ভে শুরু হয়েছে ৭ নভেম্বর। সার্ভে শেষ হওয়ার কথা ২১ নভেম্বর। সার্ভে শেষ হবার আগেই মেয়রের এ ধরনের মন্তব্য কলকাতা পুলিসের ভাবমূর্তি নস্ট করেছে। লালবাজারের পাল্টা দাবি, কোথায় কোথায় হকাররা জায়গা দখল করছে তা দেখার দায়িত্ব পুরসভার। ওইসব জায়গায় কোনও আইনি সমস্যা হলে বা পুরসভার লোকজন সেখানে গেলে কোনও যদি সাহায্যের প্রয়োজন হয় তাহলে তা দেবে পুলিস। তাই মেয়র যে অভিযোগ তুলছে তাতে কলকাতা পুলিস অসন্তুষ্ট। এতে পুলিসের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।