কমলাক্ষ ভট্টাচার্য ও প্রবীর চক্রবর্তী: একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের মঞ্চ ঘুরে দেখলেন নগরপাল-সহ কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরা। পাশাপাশি সমাবেশে আগত মানুষজন ও যান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও তাঁরা খতিয়ে দেখেন।
বৃহস্পতিবার একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ। বিপুল মানুষের সমাগমের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না কলকাতা পুলিস। সেই ব্যবস্থা কতটা পাকাপোক্ত হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে আজ ধর্মতলার সভামঞ্চে এসে হাজির হন পুলিস কর্তারা। সঙ্গে ছিল বিশাল পুলিস বাহিনী। কলকাতা পুলিস আধিকারিকদের নজর বিশেষ করে ছিল মঞ্চের দিকে। কারণ এবার যে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে তা আগের থেকে অনেকটাই বড়। তাই মঞ্চে উঠে তাঁরা দেখেন কীভাবে বিশাল জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিস।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে হাসনাবাদের এক যুবক। তার পরেই সম্ভবত এবার একুশে জুলাইয়ের নিরাপত্তায় আরও জোর দিচ্ছে পুলিস। এনিয়ে নগরপাল বলে, মঞ্চ তৈরির সময় থেকেই নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট, ক্রাউড ম্য়ানেজমেন্টের সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রচুর লোক আসবে এটা ধরে নিয়েই যান নিয়ন্ত্রণে কড়া ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এবার তিনটি স্টেজ করা হচ্ছে। সেখানে বসতে পারবেন ৫০০ জন। তৃণমূল সমর্থকদের সুবিধের জন্য এসপ্ল্যানেড ও পার্ক স্ট্রিট চত্বরে থাকছে ১৫টি জায়ান্ট স্ক্রিন। এবার মিছিল হবে হাওড়া স্টেশন, শিয়ালদহ স্টেশন, শ্যামবাজার, সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক, হাজরা থেকে। AITC অফিসিয়াল ফেসবুক, ট্যুইটার,ইন্সটাগ্রাম পেজ থেকে লাইভ সম্প্রচার হবে। এছাড়া মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের পেজ থেকেও লাইভ হবে।
স্টেজে থাকবেন সাংসদ, বিধায়ক, সংগঠনের শীর্ষ নেতা, বিশিষ্টজনরা। প্রায় ১০০০ স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার নিয়ে। এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দেওয়া হবে মাস্ক, স্যানিটাইজার।
আরও পড়ুন-কাকদ্বীপ থেকে পায়ে হেঁটে কলকাতা, ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে ধর্মতলার পথে ২ তৃণমূল কর্মী