নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি। রাজভবনে সৌরভ দাসের সঙ্গে পুরসভার (KMC Election 2021) ভোটের প্রস্তুতি নিয়েই বৈঠক। সূত্রের খবর, কেন একদিনে হল না সব পুরসভার ভোট? এ বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়েও সওয়াল করেছেন জগদীপ ধনখড়।
এদিন কমিশনারকে নিরপেক্ষ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যপাল। টুইট করে রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে বলেছেন যে ''সাংবিধানিক নিয়ম নীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই তা মেনে চলা উচিত।''এর আগেও কমিশনের সঙ্গে পুরভোট নিয়ে বৈঠক করেছেন জগদীপ ধনখড়। কমিশনকে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে, রাজ্য সরকারের শাখা হিসাবে কাজ করলে চলবে না, তাদের কথা মতো চললেও হবে না। এমনই কড়া ভাষায় সর্তক করে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
১৯ ডিসেম্বরে কীভাবে ভোট হতে চলেছে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নেবেন রাজ্যপাল। কলকাতা পুরসভার প্রায় ৫০০০ বুথে যে ভোট হতে চলেছে তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছিল বিজেপি। যদিও রাজ্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত পুলিস রয়েছে বলেই অভিমত। এই সমস্ত বিষয়ও উঠে এসেছে বৈঠকে। অর্থাৎ কলকাতা পৌর নির্বাচনে কমিশনের প্রস্তুতি-সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হবে ৷
Shri Saurav Das State Election Commissioner @MamataOfficial called on Governor Shri Jagdeep Dhankhar at Raj Bhavan, Kolkata today and updated him on issues #KMC elections preparedness.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 2, 2021
Governor indicated SEC that constitutional provisions have overriding effect and be followed. pic.twitter.com/fjtYZV2Ul1
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: জাতীয় সঙ্গীতের 'অবমাননা' করেছেন মমতা, পুলিসে অভিযোগ দায়ের বিজেপির
প্রসঙ্গত, কলকাতা পৌরনিগমের পাশাপাশি হাওড়া পৌরনিগমেও নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু, সম্প্রতি হাওড়া পৌরনিগম থেকে বালিকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার ৷ সেই সঙ্গে আগের মতোই নতুন করে বালি পৌরসভা গঠনের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু করা হয় ৷
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পুরভোট সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।