Home> কলকাতা
Advertisement

আদালতে একটি রাত! ভূতের সঙ্গে রাত কাটাবার জন্য আবেদন হাইকোর্টে...

Detectives of Supernatural: 'হন্টেড হাউজ' বলে খ্যাত কলকাতা হাইকোর্টে একটি রাত কাটাতে চান তাঁরা। চান বিশেষ করে ১১ নম্বর ঘরে থাকতে। যে-ঘরটির নানা 'দুর্নাম' আছে বলে শোনা যায়।

আদালতে একটি রাত! ভূতের সঙ্গে রাত কাটাবার জন্য আবেদন হাইকোর্টে...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভূতের গোয়েন্দা! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন, মানুষের নয়, ভূতেরই গোয়েন্দা তাঁরা। ভূত দেখার, বলা ভালো, ভূত চাখার বা ভূত পরীক্ষা করার বাসনায় তাঁরা মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেছেন। রেজিস্টার জেনারেলের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে করা এই আবেদনে বলা হয়েছে, তাঁরা 'ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারালস' 'হন্টেড হাউজ' বলে খ্যাত কলকাতা হাইকোর্টে একটি রাত কাটাতে চান। চান বিশেষ করে ১১ নম্বর ঘরে থাকতে। যে-ঘরটির নানা 'দুর্নাম' আছে বলে শোনা যায়। সেখানে তাঁরা তাঁদের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ভূত পরীক্ষার এই কাজটি করবেন। দেখবেন, যা রটে তার কিছুটা বটে কিনা! নাকি পুরোটাই বুজরুকি।

আরও পড়ুন: Primary TET: ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ কবে, আদালতে জানিয়ে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

হাইকোর্টের তরফে এখনও অনুমতি স্বরূপ কিছু আসেনি 'ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারালসে'র কাছে। জানিয়েছেন 'ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারালসে'র অন্যতম দেবরাজ সান্যাল।  তবে দেবরাজ জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো-কে ফোনে জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত কথাবার্তা চলছে, এখনও পাকাপাকি সিদ্ধান্ত কিছু হয়নি।  

দেবরাজ নিজের পরিচয় দেন 'ঘোস্টবাস্টার' হিসেবে। তিনি বা তাঁর দল কি ভূতে অবিশ্বাসী? না, তাঁরা আসলে অবিশ্বাস-বিশ্বাসের ধার দিয়েই যান না। তাঁরা পরিষ্কার বলেন, যেসব অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে তাঁরা কাজটি করেন, কাজ চলাকালীন সেগুলির সেইসময়কার স্বাভাবিক রিডিয়ংয়ে তাঁরা কিছু বদল প্রত্যাশা করেন। এমন বদল, যা সেই মুহূর্তে স্বাভাবিক ভাবে সম্ভবই নয়, কিন্তু অস্বাভাবিকের দ্বারা তো সবই হতে পারে! একমাত্র তেমনটা ঘটলে তবেই তাঁরা প্রাথমিক ভাবে বিশ্বাস করেন, সংশ্লিষ্ট জায়গায় কিছু আছে! এরকম ভাবে তাঁরা দেখেছেন, ডাউহিলের পথে অস্বাভাবিক কিছু থাকলেও থাকতে পারে! আবার একম বহু জায়গার ভূত-মিথ তাঁরা ভেঙে দিয়েছেন। 

তা হলে মানুষ ভূত বা প্রেত নামক যে বস্তুর জেরে যুগ যুগ ধরে এত ভয় পেয়ে আসছে, তার ব্যাখ্যা কী?

দেবরাজ জানাচ্ছেন, যেসব জায়গায় প্রচুর বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়, বা যেখানে কাছাকাছির মধ্যে মোবাইল টাওয়ার থাকে সেখানে একটা ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়ে যায়, যা মানুষকে হ্যালুশিনেশনের শিকার হওয়ার দিকে ঠেলে দেয়। এর উপর সংশ্লিষ্ট জায়গাটি ভিজে স্যাঁতসেঁতে হলে এই ফিল্ড আরও সক্রিয় হয়। এর উপর থাকে সংশ্লিষ্ট স্থানটির বাসিন্দার অবচেতন মন। অবচেতন মন তো মানুষকে সেটাই দেখাতে চায়, যেটা সে দেখতে চায় না। অথচ, যেটা সে সব সময় ভেবে চলেছে। এই সব যোগাযোগগুলি এক সঙ্গে সক্রিয় হয়ে ওঠে বলে সংশ্লিষ্ট জায়গায় সংশ্লিষ্ট মানুষ 'ভূত দেখে'!

এই টিমটি ইতিমধ্যেই জোড়াবাগান ট্রাফিক গার্ডের ভূতুড়ে বলে খ্যাত (বা কুখ্যাত) বাড়িটিতে রাত কাটিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা জানাচ্ছেন, তাঁদের পরীক্ষায় সেখানে কোনও স্পিরিটের অস্তিত্ব ধরা পড়েনি! তবে, কলকাতা হাইকোর্টে কী হয়, তা জানার জন্য অনেকেই আগ্রহভরে অপেক্ষা করছেন! 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

Read More