Home> কলকাতা
Advertisement

কলকাতার মতো আধুনিক শহরে পশুদের সত্‌কারের কোনও ব্যবস্থা নেই!

সরকারি উদ্যোগে পশুদের কবর দেওয়া বা পোড়ানোর কোনও ব্যবস্থা নেই এ শহরে। পশুপ্রেমীদের অভিযোগ, এ বিষয়ে নির্বিকার প্রশাসন। মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষের প্রতিশ্রুতি, এনিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করছেন তাঁরা।

কলকাতার মতো আধুনিক শহরে পশুদের সত্‌কারের কোনও ব্যবস্থা নেই!

ওয়েব ডেস্ক: সরকারি উদ্যোগে পশুদের কবর দেওয়া বা পোড়ানোর কোনও ব্যবস্থা নেই এ শহরে। পশুপ্রেমীদের অভিযোগ, এ বিষয়ে নির্বিকার প্রশাসন। মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষের প্রতিশ্রুতি, এনিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করছেন তাঁরা।

রাস্তার সারমেয়দের দুর্দশার অন্ত নেই। বেঁচে থেকেও কষ্ট। মৃত্যুর পরেও তাদের ঠাঁই হয় ভাগাড়ে। শুধু কুকুর কেন, অন্য জীবজন্তুদেরও মৃত্যুর পর কবর দেওয়ার কোনও সরকারি পরিষেবা এখনও গড়ে ওঠেনি এ শহরে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত পশু বা জীবজন্তুর ঠাঁই হয় বাইপাসের ধারে আবর্জনার স্তূপে ধাপায়। যা থেকে বাড়ছে দূষণ। ছড়াচ্ছে বিভিন্ন ধরণের রোগের সংক্রমণ। মৃত পশু-পক্ষীদের কবর বা পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকারি ভাবে কেন এখনও কোনও পরিষেবা গড়ে তোলা যায়নি? কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষের দাবি, ধাপার পাশাপাশি খুব শীঘ্রই অন্যত্র এই পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। তবে এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র সারমেয়দের জন্যই। বিড়াল বা অন্য পশুদের জন্য নয়।

আরও পড়ুন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি, জারি থাকবে আরও ২৪ ঘণ্টা

দেশের অন্যান্য মেট্রো পরিচলন শহরে এধরণের পরিষেবা রয়েছে। কিন্তু কলকাতার মতো একটি আধুনিক শহরে কেন এখনও এই পরিষেবা গড়ে তোলা গেল না, তা নিয়ে সরব হয়েছেন শহরের পশুপ্রেমীরা।

পশুদের যত্ন, সুরক্ষা, অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষায় আন্দোলন, প্রতিবাদ চলছে। পশুপ্রেমীদের তরফে সরকারি উদ্যোগে একটি কবরখানার দাবিও দীর্ঘদিনের। কিন্তু সবই সার। লাল ফাঁসের ফিতে ছিঁড়ে কবে শান্তিতে চিরনিদ্রায় বিদায় নিতে পারবে এই অবলাকূল, সে প্রশ্ন আজও অধরা।

আরও পড়ুন জানেন আলু খাওয়ার সঙ্গে আমাদের শরীরে রোজ কীভাবে বিষ ঢুকছে?

Read More