Home> কলকাতা
Advertisement

ক্ষমতাসীন দল বলে যেন বেশি সুবিধা না পায়, পুরভোট নিয়ে সংবিধানের পাঠ দিলেন ধনখড়

"সংবিধানের ৩২৪ নম্বর অনুচ্ছেদের আওতায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের হাতে যে যে ক্ষমতা আছে, ২৪৩K অনুচ্ছেদের আওতায় তার সবকটাই রয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের।"

ক্ষমতাসীন দল বলে যেন বেশি সুবিধা না পায়, পুরভোট নিয়ে সংবিধানের পাঠ দিলেন ধনখড়

নিজস্ব প্রতিবেদন :  ক্ষমতায় আছে বলে কোনও দল যেন বিশেষ সুবিধা না পায়। পুরভোট (Municipal Election) নিয়ে বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের  (State Election Commissioner) সঙ্গে বৈঠকে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। পুরভোট নিয়ে আলোচনার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ কুমার দাসকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এদিন রাজভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন সৌরভ দাল।  তাঁর সঙ্গে ছিলেন কমিশন সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য।

পুরভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যেন স্বাধীনভাবে কাজ করেন, বৈঠকে সৌরভ দাসকে সেই মর্মে নির্দেশ দেন ধনখড়। তাঁর স্পষ্ট কথা, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। সব দল যেন সমান সুযোগ পায়। ক্ষমতায় আছে বলে, কোনও দল যেন বিশেষ সুবিধা না পায়। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ ছিল, বহুক্ষেত্রে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। ভোটের দিন হিংসা ছড়ানো হয়েছে। অবাধে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, চুপ করেছিল, পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করে বলে অভিযোগে সরব হন তাঁরা।

আরও পড়ুন, 'অত্যন্ত ন্যক্কারজনক', FIR দায়েরের ঘটনায় নাম না করে নীতিশকে তুলোধনা পিকের

আরও পড়ুন, হিংসা বিধ্বস্ত দিল্লিতে ৩ দিন না খেয়ে! নওদার ১১ জনকে উদ্ধার করে ট্রেন ধরালেন অধীর

এবার পুরভোটে ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারেন, পঞ্চায়েত ভোটে হিংসাকে ইঙ্গিত করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তা নিশ্চিত করতে বলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। পরে রাজভবনের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "ফ্রি ও ফেয়ার নির্বাচনের উপর জোর দিয়েছেন রাজ্যপাল ধনখড়। সব দল যাতে সমান সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন। তাতেই গণতন্ত্রের জয়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল উল্লেখ করেন, সংবিধানের ৩২৪ নম্বর অনুচ্ছেদের আওতায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের হাতে যে যে ক্ষমতা আছে, ২৪৩K অনুচ্ছেদের আওতায় তার সবকটাই রয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের।"

Read More