নিজস্ব প্রতিবেদন : গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২। দীর্ঘ জেরার পর গড়িয়াহাট জোড়া খুন কাণ্ডে বাপি মন্ডল ও জাহির গাজিকে গ্রেফতার করল পুলিস। কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি ও তাঁর ড্রাইভার রবিন মন্ডলকে খুনে যে ৩ জন ভিকিকে সাহায্য করেছিল, বাপি ও জাহির গাজি তাদের মধ্যে অন্যতম। ছেলেকে কুকর্মে সাহায্য করার জন্য এই ৩ জনকেই জোগাড় করে দিয়েছিল মিঠু। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা অপরাধের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ভিকির সঙ্গে তারা সুবীর চাকির বাড়িতে গিয়েছিল বলেও স্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়ায় কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডল খুন হন। সেই খুনের ঘটনায় প্রথমে পরিচারিকা মিঠুকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতকে জেরা করে পুলিস জানতে পারে, মিঠুর বড় ছেলে ভিকি মা-কে বলে খুন করে সে টাকা আদায় করবে। এরপরই কাজ হাসিল করতে মিঠু ৩ জন লোক জোগাড় করে। ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে খুনের জন্য ৩ জনকে জোগাড় করে সে।
তারপর ঘটনার দিন রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ ট্রেন ধরে ঘটনাস্থল লাগোয়া একটি স্টেশনে পৌঁছয় মিঠু। পরের ট্রেন ধরে ওই স্টেশনে পৌঁছয় ওই ৩ জন। ভিকি সহ মোট ৫ জন চলে যায় 'অপারেশনে'। কাজ হওয়ার পর মাকে ফোন করে ভিকি। খুনের কথাও তখনই জানায় সে। পরদিন মায়ের সঙ্গে দেখা করে নিজের রক্তমাখা জামা সহ ২টি ব্যাগ দিয়ে গা-ঢাকা দেয় ভিকি।
আরও পড়ুন, ৮ লাখ টাকা না দেওয়ায় ইটভাটা দখলের চেষ্টা অঞ্চল সভাপতির, অভিযোগ TMC কর্মীর
এখন তদন্তে নেমে পুলিস প্রথমে পরিচারিকা মিঠুকে গ্রেফতার করে। তারপর দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানা এলাকা থেকে জাহির ও বাপিকে আটক করে। যদিও ভিকি এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।