জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের আরও টাকার হদিশ। অর্পিতার আরও ৫ কোটি ৩২ লাখ টাকার হদিশ পেল ইডি। ৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আছে এই ৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। অর্পিতার নিজস্ব অ্যাকাউন্টে খোঁজ মিলেছে ২ কোটি ২২ লাখ টাকার। ওদিকে ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্টের অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, এই টাকার পুরো উৎস-ই নগদ বা অনলাইন লেনদেন। যাদের কাছ থেকে এই টাকা এসেছে, তাদের সঙ্গে ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্টের কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ এই টাকার সঙ্গে শিক্ষক দুর্নীতির যোগ রয়েছে বলে মনে করেছে ইডি। পরবর্তীকালে এই টাকা সম্পত্তি কেনার জন্য ব্যবহার করা হয়।
ওদিকে, এদিন জামিনের সময় অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় ফের দাবি করেন যে তাঁর ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া টাকার বিন্দুবিসর্গ তিনি কিছু জানেন না। অর্পিতা এদিন ভার্চুয়াল শুনানির সময় বলেন, 'তিরিশ ঘণ্টা তল্লাশি চলে। ওইসময় বেশিরভাগ সময়টাই আমি বাথরুম বা বেডরুমে ছিলাম।' ওই কথা শুনে বিচারকের পাল্টা প্রশ্ন, 'তাহলে আপনার ঘর থেকে যে বিপুল টাকা উদ্ধার হয়েছে সেই টাকা কার?' উত্তরে অর্পিতা বলেন, 'ওই টাকা কার, কোথা থেকে এল, তার কিছু-ই জানি না। টাকা উদ্ধারের সময় সামনে ছিলাম না।' এদিন সওয়াল জবাবের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা।
আরও পড়ুন, Nabanna Abhiyan, Abhishek Banerjee: আমি যদি পুলিস হতাম, কপালে গুলি চালাতাম: অভিষেক
প্রসঙ্গত, একদিকে অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাট, অন্যদিকে রথতলার ক্লাবটাউনের ফ্ল্যাট। দুই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলাকালীন প্রায় ৫০ কোটি নগদ উদ্ধার হয়। সেইসঙ্গে উদ্ধার হয় প্রচুর সোনার গয়না, সোনার বার ও বৈদেশিক মুদ্রা। এরপর তদন্ত যত এগোয়, ততই 'অ-পা'র একের পর এক সম্পত্তির হদিশ মেলে। উল্লেখ্য, গত ৩১ অগস্ট দুজনের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল আদালত। বদলে পার্থ ও অর্পিতার ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। সেইসঙ্গে বহাল থাকে অনলাইনে ভার্চুয়াল হাজিরার নির্দেশও। পাশাপাশি, আদালত এটাও বলে প্রয়োজনে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি। সেই মেয়াদ শেষে এদিন ১৪ সেপ্টেম্বর ফের পার্থ-অর্পিতার শুনানির দিন ধার্য হয়।