Home> কলকাতা
Advertisement

Primary TET Scam: পার্থ-মানিক যোগসাজশেই চাকরির বিনিময়ে টাকা 'লুঠ', হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে মিলল সূত্র

প্রাইমারিতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির টাকা মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের অ্যাকাউন্টে ঢুকত বলে অভিযোগ। এখন ইডির আতস কাঁচের সন্দেহভাজন আরও বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট।

Primary TET Scam: পার্থ-মানিক যোগসাজশেই চাকরির বিনিময়ে টাকা 'লুঠ', হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে মিলল সূত্র

বিক্রম দাস: পার্থ-মানিক যোগসাজশেই অনলাইন ক্লাসের নামে টাকা লুঠ! টাকা তোলা হত চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে। শিক্ষা দুর্নীতির তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র এল ইডির হাতে। ইডি সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথোপকথন থেকেই মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথোপকথন থেকে আরও দেখা গিয়েছে যে, শুধু মানিক ভট্টাচার্য নয়, তাছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন এই চক্রের কথা জানত। তারাও মানিক ভট্টাচার্যকে সাহায্য করে। 

হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরেই শুক্রবার মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ এক ব্য়ক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। সেখান থেকেও বেশ কিছু সূত্র মিলেছে বলে খবর। ইডির হাতে এসেছে আরও বেশ কিছু তথ্য। প্রসঙ্গত, প্রাইমারিতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির টাকা মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের অ্যাকাউন্টে ঢুকত বলে অভিযোগ। এখন ইডির আতস কাঁচের সন্দেহভাজন আরও বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট। সেই অ্যাকউন্টগুলিতেও টাকা লেনদেন হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে ইডি। 

উল্লেখ্য, শুক্রবারই আদালতে মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর নামে বিস্ফোরক দাবি করে ইডি। মিথ্যে বলে ৩ বছর আগে মৃত ব্যক্তির নামে ব্যাংকে কেওয়াইসি করেন মানিকের স্ত্রী! আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করে ইডি। অভিযোগ, মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য মিথ্যে বলে একজন মৃত ব্যক্তির নামে ব্যাংকের কেওয়াইসি করিয়ে নেন। শতরূপা ভট্টাচার্যের নামে একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যে অ্যাকাউন্টে ২ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টে ফার্স্ট হোল্ডার হিসেবে নাম রয়েছে মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায়ের। এখন এই মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায়ের মৃত্যু হয়েছে বছর তিনেক আগেই। কিন্তু সেকথা ব্যাংকে জানাননি শতরূপা দেবী। 

আরও পড়ুন, সশরীরে আদালতে নেই পার্থ, স্থগিত শুনানি; ক্ষুব্ধ বিচারপতি জানালেন নতুন তারিখ

মৃত্যুঞ্জয় বাবু বাইরে রয়েছেন বলে ব্যাংকে নিজেই কেওয়াইসি করে নেন। এমনকি, সঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায় যিনি এই মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায়ের ছেলে, তিনিও জানতেন না তাঁর বাবার নামে এই অ্যাকাউন্টের কথা। ২০১৬ সালে প্রয়াত হন মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্য়ায়। আর এদিকে একজন মৃত মানুষের নামে ব্যাংকে কেওয়াইসি জমা পড়ে ২০১৯-এ। আদালতে এমনই জানায় ইডি। আর সেখানেই ওঠে প্রশ্ন। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর আয়ের উৎস কী? তাঁর নামে এত টাকা কোথা থেকে এল? এর সবটাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)    

Read More