Home> কলকাতা
Advertisement

নাইট ডিউটির সুযোগে জেলের মধ্যেই রমরমা কারবার ডাক্তারের, আয়ের অঙ্ক চমকে ওঠার মতো

জেলের মধ্যে কীসের কারবার ফেঁদে বসেছিলেন ডাক্তার?

নাইট ডিউটির সুযোগে জেলের মধ্যেই রমরমা কারবার ডাক্তারের, আয়ের অঙ্ক চমকে ওঠার মতো

নিজস্ব প্রতিবেদন : সর্ষের মধ্যেই ভূত! জেলের মধ্যেই মদ, গাঁজা, মোবাইল পাচারের রমরমা কারবার। আলিপুর জেলে পর্দাফাঁস হল এমনই এক বড়সড় পাচারক্রের। হাতেনাতে ধরা পড়লেন অমিতাভ চৌধুরী নামে জেলেরই এক ডাক্তার। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কারা দফতর।

জানা গেছে, ধৃত অমিতাভ চৌধুরী একজন প্রাক্তন সেনা ডাক্তার। অবসরের পর আলিপুর জেলে ডাক্তার হিসেবে যোগ দেন। আর জেলের ডাক্তার হিসেবে যোগ দিয়েই শুরু হয় তাঁর পাচারের কারবার। জেলের মধ্যেই মাদক-মোবাইল পাচার করতেন তিনি। এদিনও মাদক-মোবাইল সহ জেলে ঢোকার সময়ই তাঁকে বমাল গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ লিটার মদ, ৪ কিলো গাঁজা উদ্ধার করেছে আলিপুর থানার পুলিস। একইসঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩০-৩৫টি মোবাইলও।

পুলিসি জেরায় ধৃত অমিতাভ চৌধুরী জানিয়েছেন, অবসরের পর সেনা থেকে তিনি মাসে পেনশন পান ৫০ হাজার টাকা। জেলের ডাক্তার হিসেবে মাসে বেতন পান ৯০ হাজার টাকা। এরপর মাদক-মোবাইল পাচার করে আরও ৬০ হাজার টাকা 'আয়' করতেন তিনি। টানা ৩ বছর ধরে নাইট ডিউটির সুযোগেই তিনি এই ব্যবসা ফেঁদেছিলেন। তিন নিজে ডাক্তার হওয়ার পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী-পুত্রও ডাক্তার।

আরও পড়ুন, দমদম মেট্রোয় গুলি চলার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস নিশ্চিত আলিপুর জেলের বন্দিদের হাতেই এই মদ-মাদক-মোবাইল পাচার করতেন অমিতাভ চৌধুরী। এই ঘটনা সামনে আসতেই ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

Read More