Home> কলকাতা
Advertisement

Recruitment Scam: ওএমআর শিট জালিয়াতি, সিবিআইয়ের জালে আরও এক

Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ওএমআর শিটে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। টেটের ওএমআর শিটের ইভ্যালুয়েশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এ এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানিকে। সেখানে জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কৌশিক মাঝি ওই কোম্পানির পার্টনার

Recruitment Scam: ওএমআর শিট জালিয়াতি, সিবিআইয়ের জালে আরও এক

পিয়ালি মিত্র: গতকালই ওএমআর শিট জালিয়াতির অভিযোগে সিবিআইয়ের জালে পড়েছে পার্থ সেনগুপ্ত নামে একজন। আর ২৪ ঘণ্টা না পার হতেই ফের ওই একই অভিযোগে গ্রেফতার কৌশিক মাঝি নামে একজন। এর আগে হাওড়ার তার বাড়িতে তল্লাশি ও নিজাম প্য়ালেসে তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। এবার গ্রেফতার।

আরও পড়ুন- নিয়োগ মামলায় এবার সিবিআইয়ের জালে OMR প্রস্তুতকারক সংস্থার আধিকারিক

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ওএমআর শিটে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। টেটের ওএমআর শিটের ইভ্যালুয়েশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এ এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানিকে। সেখানে জালিয়াতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কৌশিক মাঝি ওই কোম্পানির পার্টনার।

ঠিক কী অভিযোগ কৌশিকের বিরুদ্ধে? এসএসসির ওএমআর শিট দুর্নীতি মামলায় নীলাদ্রী দাস নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ঠিক একইভাবে এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানিকে টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল। সেই সুযোগেই ওএমআর শিটে জালিয়াতি হয়েছিল। কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্ত নমে সিবিআই একযোগে কৌশিক মাঝির বাড়ি, পার্থ সেনগুপ্তর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। কৌশিক মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। গতকাল পার্থ সেনগুপ্তকে গ্রেফতারের পর আজ এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানির পার্টনার কৌশিককে গ্রেফতার করা হল।

সিবিআই সূত্রে খবর, প্রতিবারই টেটের ওএমআর শিট প্রস্তুত করার বরাত পেত এস বসু রায় কোম্পানি। সংস্থার আধিকারিক পার্থ সেনকে আগেও বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিক। এদিন ফের তাঁকে তলব করা হয় নিজাম প্যালেসে। ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর শেষপর্যন্ত গ্রেফতারি।

কাদের নির্দেশে ওএমআর শিটে অদলবদল? কতগুলি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছিল? এদিন জেরায় পার্থের কাছে জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। স্রেফ বয়ানে অসঙ্গতি নয়, তদন্তে অসহযোগিতাও করেন।  এর আগে, OMR শিট মামলায় হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল সিবিআই। রিপোর্ট দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুনানি তিনি বলেছিলেন, 'সময় এসেছে। অনেকবার বলা হয়েছে। যদি সিবিআই কাজ না করে তাহলে প্রধানমন্ত্রী দফতরের বিষয়টি জানানো হবে। আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকা সংস্থা কি করছে দেখুন। সিবিআই অফিসার বাচ্চা নয়, কি করছে সেটা দেখুন'।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল) 

 

Read More