Home> কলকাতা
Advertisement

OBC Certificate: ২০১০ সালের পর সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল! হাইকোর্টে জোর ধাক্কা রাজ্যের...

OBC Certificate Cancelled by Calcutta High Court: রাজ্যে তখন সদ্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। ২০১২ সালে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আদালতে মামলাকারী জানান, ২০১০ সালে একটি অন্তর্বর্তী তালিকা ভিত্তিতে রাজ্যে ‘অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি’ তৈরি করে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। ওই শ্রেণীর নাম দেওা হয়, ‘ওবিসি-এ। কিন্তু ক্ষমতা আসার পর, চূড়ান্ত রিপোর্ট ছাড়াই একটি তালিকা তৈরি করে তৃণমূল সরকার। এমনকী, আইনও প্রণয়ন করা হয়। এদিন সেই মামলারই রায় ঘোষণা হল।

OBC Certificate: ২০১০ সালের পর সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল! হাইকোর্টে জোর ধাক্কা রাজ্যের...
Updated: May 22, 2024, 05:51 PM IST

অর্ণবাংশু নিয়োগী: ২০১০ সালের পর তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল! সংখ্যাটা প্রায় ৫ লক্ষ। হাইকোর্টে এবার জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্তা ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, Westbengal Backward Class Commission ACT 1993 মেনে স্রেফ নতুন তালিকা তৈরিই নয়, বিধানসভা পেশ করে সেই তালিকায় চুড়ান্ত অনুমোদনও নিতে হবে।  তবে ২০১০ সালের পরে ওবিসি সংরক্ষণের কারণে যারা চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগপ্রক্রিয়া মধ্যে রয়েছেন, তাদের চাকরি অবশ্য বহাল থাকবে।

আরও পড়ুন:  Bangladesh MP Killed: 'কলকাতায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে আমাদের এমপি-কে', দাবি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর!

কেন এমন সিদ্ধান্ত? কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ২০১০ সালের পর যে ওবিসি সার্টিফিকেটগুলি তৈরি হয়েছে, সেগুলি আইন মেনে তৈরি হয়নি। ডিভিশন বেঞ্চে বলেছে, 'এর পরে কারা ওবিসি হবেন তা রাজ্যের আইনসভা অর্থাৎ বিধানসভাকে ঠিক করতে হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার কমিশনকে ওবিসিদের তালিকা নির্ধারণ করতে হবে। সেই তালিকা রাজ্যের আইনসভা বা বিধানসভাকে পাঠাতে হবে। যাঁদের নাম বিধানসভা অনুমোদন দেবে পরবর্তী কালে তাঁরাই ওবিসি বলে গণ্য হবেন'।

১২ বছর পার। রাজ্যে তখন সদ্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। ২০১২ সালে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আদালতে মামলাকারী জানান, ২০১০ সালে একটি অন্তর্বর্তী তালিকা ভিত্তিতে রাজ্যে ‘অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি’ তৈরি করে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার। ওই শ্রেণীর নাম দেওা হয়, ‘ওবিসি-এ। কিন্তু ক্ষমতা আসার পর, চূড়ান্ত রিপোর্ট ছাড়াই একটি তালিকা তৈরি করে তৃণমূল সরকার। এমনকী, আইনও প্রণয়ন করা হয়। এদিন সেই মামলারই রায় ঘোষণা হল।

আরও পড়ুন:  C V Ananda Bose: শ্লীলতাহানি বিতর্কের মধ্যেই হঠাৎ দিল্লি যাত্রা বোসের! রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা? জোর জল্পনা...

কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমরা আগে থেকে বলে আসছিল, ত্রুটিপূর্ণ ওবিসি তালিকা তৈরি হয়েছে। কারণ, সংবিধান অনুসারে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়া যায় না। আরও একবার সেটা প্রমাণিত হল। তোষণের রাজনীতি চলতে পারে না। সু্প্রিম কোর্টে গেলেও আমার বিশ্বাস এই রায় বহাল থাকবে। তৃণমূল সরকারের তোষণে রাজনীতির গালে সপাটে থাপ্পড় পড়ল'।

সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতে, 'বেআইনি কাজ করত তৃণমূল সরকার।  ক্ষমতায় আসার পর, বড় বক্তৃতা করে লোককে প্রলোভন দেখিয়ে এইসব কাজ করেছেন। আইনে মেনে করেননি, তাই আদালত বাতিল করে দিয়েছে'। সঙ্গে কটাক্ষ, 'শাসন চালানো তো সহজ নয়। যখন আদালতের কাছে আসছে, কেলেঙ্কারি বেরিয়ে পড়ছে'।

এদিকে হাইকোর্টের রায়কে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, 'কিছু যায় আসে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আছে। ওবিসি যাঁরা আছেন, তাঁদের পাশে নিশ্চয়ই সরকার দাঁড়াবে। আর এই হাইকোর্টে বিকাশবাবুরা, বিজেপিরা মিলে মানুষের অধিকার হরণের খেলায় মেতেছেন, এবং হাইকোর্টে যাঁদের সঙ্গ দিচ্ছেন, আগামীদিনে উচ্চতর আদালতে যাওয়া হবে'।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)