নিজস্ব প্রতিবেদন: সুপ্রিম কোর্টের পর পরিবেশবান্ধব বাজিতে এবার ছাড়পত্র দিল কলকাতা হাইকোর্টও। দীপাবলিতে বাজি ফাটানো যাবে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে মেনে বাজি পোড়ানো ও বিক্রি করা হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকেই।
ঠিক কী জানিয়েছে হাইকোর্ট? শুধুমাত্র পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশন বা পেসো দ্বারা স্বীকৃত বাজি ছাড়া অন্য কিছু বিক্রি করা যাবে না। বাজি পোড়ানো যাবে না জনবহুল জায়গা ও হাসপাতালের সামনে। ৬ সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি। তখন খতিয়ে দেখা হবে, আদালতের নির্দেশ মানা হয়েছে কিনা। আদালতের হলফনামা জমা দিতে হবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে।
আরও পড়ুন: Kali Pujo: ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজেও ছাড় নেই! কালীদর্শনেও নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের
করোনা পরিস্থিতিতে এ বছরও কালীপুজো বাজি ফোটানো ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বাজি ব্যবসায়ী। হাইকোর্টের রায়ে খারিজ হয়ে যায়। শীর্ষ আদালত জানায়. 'কোন বাজি আমদানি করা হয়েছে তা ধরা সম্ভব নয়। সেজন্য রাজ্য সরকার কাঠামো তৈরি করতে হবে। তেমন পরিস্থিতি হলে ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিসকে। কিন্তু বাজি পুরোপুরি নিষিদ্ধ হতে পারে না। পরিবেশ আদালত ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপব্যবহার যাতে না হয় তা নিশ্চিত করা দরকার'।
আরও পড়ুন: কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোটের সম্ভাবনা ১৯ ডিসেম্বর, রাজ্যের প্রস্তাবে সায় কমিশনের
তাহলে? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ফের বেআইনি বাজি বন্ধের আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। এদিন শুনানিতে মামলাকারীকে বিচারপতি রাজশেখর মান্তার ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, 'আর মাত্র একদিন। কাল কালীপুজো। কি মনে করেন, আজ বললে রাজ্য নির্দেশ কার্যকর করতে পারবে'? স্পষ্টতই জানিয়ে দেওয়া হয়, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ ও পরিবেশ উভয়ের ভারসাম্য রাখার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নতুন করে আর কোনও নির্দেশ দেওয়া হবে না।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)