Home> কলকাতা
Advertisement

Britannia Shut Down: বন্ধ হয়ে গেল তারাতলার ব্রিটানিয়া কারখানা, বেকার শয়ে শয়ে শ্রমিক

Britannia Shut Down:কারখানা বন্ধ নিয়ে বিজেপির  রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শিল্প বিরোধী একটি ছবি তৈরি হয়েছে। যে দল তোলাবাজি করে তাদের আমলে কোনও শিল্প চলতে পারে না

Britannia Shut Down: বন্ধ হয়ে গেল তারাতলার ব্রিটানিয়া কারখানা, বেকার শয়ে শয়ে শ্রমিক

সন্দীপ প্রামাণিক: বন্ধ হয়ে গেল তারাতলার ব্রিটানিয়া বিস্কুট কারখানা। মে মাসের শুরু থেকেই উত্পাদন বন্ধ ছিল। এবার লোকসভা ভোটে মিটতেই বন্ধ করে দেওয়া হল কারখানা। কাজ হারালেন কয়েকশো শ্রমিক। প্রায় একশো বছর পুরনো এই কারখানায় এবার একেবারেই ঝাঁপ পড়ে গেল।

আরও পড়ুন-নেট প্রশ্ন ফাঁস তদন্তে গিয়ে গ্রামবাসীদের রোষের মুখে সিবিআই, ভাঙচুর গাড়ি, গ্রেফতার ৪
 
কারখানায় স্থায়ী কর্মীদের সঙ্গে রয়েছেন কিছু অস্থায়ী শ্রমিক। তারা সবাই এখন বেকার। শ্রমিকদের দাবি যারা স্থায়ী কর্মী তারা কিছুটা ক্ষতিপূর্ণ পেয়েছেন। কিন্তু যারা অস্থায়ী শ্রমিক তারা কোনও টাকাই পাননি। আগামিকাল ম্যানেজমেন্টের বৈঠক রয়েছে। সেদিন বোঝা যাবে কর্তৃপক্ষ আদৌ আর কারখানা খুলবে কিনা। নাকি কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধই হয়ে গেল।

বন্দরের জমির উপরে গড়ে উঠেছিল ব্রিটানিয়ার কারখানা। ৯৯ বছরের লিজে নেওয়া হয়েছিল ওই জমি। সেই জমি নিয়ে কিছু হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আগামিকাল অস্থায়ী কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তখন বোঝা যাবে অস্থায়ী কর্মীদের ভবিষ্যত কী হবে।

কারখানা বন্ধ নিয়ে বিজেপির  রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে শিল্প বিরোধী একটি ছবি তৈরি হয়েছে। যে দল তোলাবাজি করে তাদের আমলে কোনও শিল্প চলতে পারে না।

কারখানার শ্রমিকদের দাবি, কারখানায় অনেক ভালো উত্পাদন হয়। লাভও প্রচুর হয়। তার পরেও কেন যে কারখানা বন্ধ হয়ে গেল তা বোঝা যাচ্ছে না। আগামিকাল আস্থায়ী কর্মীদের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষের বসার কথা রয়েছে। স্থায়ী কর্মীদের টাকা দিয়ে ভিআরএস দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কারখানা বন্ধ নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ব্রিটানিয়া বাংলার আবেগের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে। নতুন শিল্প হচ্ছে না। চলু শিল্পও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটাই বাংলার দশা ও দিশা। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দল যে ভাবে চলেছে তাতে সুরাহার কোনও ইঙ্গিত নেই। শিল্প দফতর কী করছেন, মুখ্যমন্ত্রী কী করছেন। তাদের কাজই হলে ভোট আদায় করা। শিল্প, মানুষের রুজি বন্ধ হয়ে গেল।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More