Home> কলকাতা
Advertisement

কলকাতা পুরভোটে গ্ল্যামার না অভিজ্ঞতা? মুকুলের সঙ্গে মতানৈক্য রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের

সেলেবদের আসন্ন কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী করতে চাইছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ। 

কলকাতা পুরভোটে গ্ল্যামার না অভিজ্ঞতা? মুকুলের সঙ্গে মতানৈক্য রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের

নিজস্ব প্রতিবেদন: মুকুল রায় বলছেন, আনকোরা নয়, বরং পরিচিত মুখদের নামানো হোক কলকাতা পুরভোটের ময়দানে। আর একটা অংশের ভরসা দলের সেলিব্রিটিরা। লোকসভা ভোটের আগে ও পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। তাঁরাই হতে চলেছেন পুরভোটে বিজেপির প্রার্থী।   

লোকসভা ভোটে দেব, মিমি ও নুসরতকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা তিন জনেই জিতেছেন। তৃণমূলের ভরা বাজারে স্রোতের বিপরীতে গা ভাসিয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির সেলেব মুখ বলতে তিনিই। তবে হুগলির সাংসদ এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিক। বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রীর দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। লকেট ছাড়া রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও আছেন। লোকসভা ভোটের পরে হাওয়া ঘুরতেই এক ঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁরা হলেন- পার্নো মিত্র, অঞ্জনা বসু, মৌমিতা গুপ্ত, বিশ্বজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অরিন্দম হালদার (লামা), ঋষি কৌশিক, কাঞ্চনা মৈত্র ও রূপাঞ্জনা মিত্ররা। অঞ্জনা বসুও রয়েছেন বিজেপিতে। তাঁরা টলিউডে শিল্পীদের আলাদা সংগঠনও তৈরি করে ফেলেছেন। 

ওই সেলেবদের আসন্ন কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী করতে চাইছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত ১৫-১৬টিতে তাঁদের প্রার্থী করা নিয়ে চলছে ভাবনাচিন্তা। তবে এনিয়ে বিজেপির অন্দরেই এখন শুরু হয়েছে জলঘোলা। প্রশ্ন উঠছে, সেলেব দিয়ে কি আদৌ পুরসভা ভোটে জয়লাভ সম্ভব? 

বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে এনিয়ে মুকুল রায় দ্বিমত পোষণ করছেন বলে খবর। ২০১১ সালে তৃণমূলকে আনার ফরমুলাই বিজেপিতে কাজে লাগাতে চাইছেন তিনি। মুকুলের অভিমত, পুরভোটে শোভন চট্টোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমের মতো হেভিওয়েট নেতাদের প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। আনকোরা মুখের চেয়ে বড় নামের উপরেই ভরসা রাখবেন ভোটাররা। বিজেপিরও সেই পথে চলে উচিত।                        

সূত্রের খবর, মুকুলের সঙ্গে এনিয়ে মতের অমিল রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের। ওই অংশের মতে, পুরভোটে বর্ষীয়ান ও অভিজ্ঞদের চেয়ে ঝকঝকে নতুন মুখই বৈতরণী পার করাতে সক্ষম হবেন। তাছাড়া অভিনেতা-অভিনেত্রীরা প্রার্থী হলে তাঁরা উদ্যম পাবেন। যা কাজে লাগবে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে। সবমিলিয়ে প্রার্থীবাছাই নিয়ে বিজেপির অন্দরেই তৈরি হয়েছে বিস্তর চাপানউতোর।   

আরও পড়ুন- কখন যে কার পিছনে কত বাম্বুবাগান চলে যাবে, বুঝতেও পারবেন না, মমতার নিশানায় BJP

Read More