জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: "দুর্নীতির মক্ষীরানি মমতা। আর পার্থ হচ্ছে দাবার বোড়ে। কোটি কোটি টাকার এই দুর্নীতি। মমতা ও তাঁর ঘনিষ্ঠ লোকেদের বাড়িতে যদি তল্লাশি চালানো হয়, তাহলে আরও হাজার হাজার কোটি টাকার তথ্য প্রকাশিত হবে।" পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের গ্রেফতারিতে বিস্ফোরক বিকাশরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলাকারী প্রথম আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
এদিন Zee ২৪ ঘণ্টাকে একান্ত সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল। দুর্নীতিকে তারা একটা রাজনৈতিক চেহারা দিয়ে ফেলেছে। এই দুর্নীতিকে উন্মোচিত করার জন্যই আমাদের লড়াই। বহুদিন ধরে এই লড়াই চলছে। আদালতের সক্রিয় ভূমিকা এই লড়াইয়ে আমাদের অনেকটাই সাহায্য করেছে। মামলা ঠেকাতে প্রচুর টাকা নষ্ট করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার। সারদা মামলা, নারদা মামলাতেও করেছেন। এসএসসিতে করেছেন। এতগুলো টাকা যদি অপচয় না করতেন, প্রথম থেকেই স্বীকার করে নিতেন যে দুর্নীতি হয়েছে। তাহলে বুঝতাম যে, এই সরকারের সদিচ্ছা আছে।"
প্রসঙ্গত, একুশে জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ফের বাম বিরোধিতায় সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে সরাসরি আক্রমণ করে তিনি বলেন, "বাম আমলে ১০-১৫ লাখ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে।" বলেন, "সিপিএম-এর একটা কাগজ আছে। তার যত রিপোর্টার আছে, তাঁদের বেশিরভাগের বউ সবাই টিচারের চাকরি পেয়েছে। কী করে! কোয়ালিটিতে পেয়েছিল নাকি ক্রেডিবিলিটিতে পেয়েছিল? নাকি নম্বরে পেয়েছিল? ছেলেরা পার্টি করবে, আর বউরা চাকরি করবে। সিপিএম চাকরিগুলো দিয়েছিল।"
যার জবাবে বিকাশ ভট্টাচার্য সেদিন পাল্টা বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত তদন্ত কমিশন গঠন করা এবং নিজেই তার মাথায় বসা। বিকাশবাবু বলেন, "উনি যদি এটা নিয়ে তদন্ত করেন তাহলে খুব ভালো। আমি ওনাকে এক হাঁড়ি রসগোল্লা খাওয়াবো। মাঠে ময়দানে মেঠো বক্তৃতা না দিয়ে উনি কাল একটা তদন্ত শুরু করে দিন। তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান উনি নিজেই হোন। আমার তাতেও কোনও আপত্তি নেই।"