জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার দল থেকে সাসপেন্ড হওয়া এবং মন্ত্রিত্ব খোয়ানোর পর, শুক্রবার মুখ খোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। এবার প্রাক্তন মহাসচিবের করা মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। মুখ খুললেন দলের সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen) এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
শুক্রবার পার্থকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে (ESI Hospital) তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাংবাদ মাধ্যমের সামনে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "আমি ষড়যন্ত্রের শিকার"। এরপর জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বের হওয়ার সময় ফের তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত ঠিক"। দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "সময় বলবে"।
এই বিষয়ে শান্তনু সেন বলেন,"যা বলার দল গতকাল জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তদন্ত সম্পূর্ণ হলে যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দল সিদ্ধান্ত নেবে। এখন তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হোক। সত্য সামনে। আমরা সবাই সেটাই চাইছি।" কুণাল ঘোষ বলেন, "গতকাল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যা বলার বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এরপর আর কিছু বলার নেই। আমরা আশা করেছিলাম, যে ব্যক্তি এই অন্যায় করেননি, তার প্রথম চেষ্টাটেই তো এটা বলা উচিত। মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত। আইনি যুদ্ধে তাঁর প্রমাণ করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।"
প্রসঙ্গত, ২২ জুলাই বিকেলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাট থেকে উদ্বার হয় বিপুল অঙ্কের টাকা, গয়না, মোবাইল এবং বৈদেশিক মুদ্রা। পরের দিন গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। সোমবার কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালত, পার্থ এবং অর্পিতাকে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ অর্পিতাকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স পৌঁছন ইডির অফিসাররা। রাতে ইডি দফতরের একটি রুমেই অর্পিতাকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার রাতে অবশ্য পার্থর কলকাতা ফেরা হয়নি। তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমস হাসপাতালে রাত কাটাতে হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। রাজ্যের মন্ত্রীকেও কোনও থানার লকআপে না রেখে, সিজিও কমপ্লেক্সের আট তলায় আলাদা রুমে (অস্থায়ী “লকআপ”) রাখা হয়।