সুতপা সেন: কেন্দ্রের বাজেটের পর আগামিকাল বুধবার বিধানসভায় পেশ করা হচ্ছে রাজ্য বাজেট। কর্মসংস্থান, আয় বৃদ্ধি, শিল্প নিয়ে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে সেটাই দেখার। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হল আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ব্যালান্স করা।
আরও পড়ুন-বুমরা থেকে জাদেজার চোট নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন চেতন শর্মা
রাজ্যের বিপুল খরচের কথা বলতে গেল বলতে হয় শুধুমাত্র ঋণ শোধ করতেই ৬৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হয় রাজ্যকে। এরপর রয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী-র মতো রাজ্যের একাধিক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প। সেইসব প্রকল্পের টাকা জোগান দিতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা রাজ্যের। এরপর রয়েছে রাজ্যের কর্মচারীদের বেতন, পেনশন ও রোজকার খরচ। এরমধ্য়েই বড় বাধা হলে কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকারের তার বকেয়া টাকা না পাওয়া।
ডিএ নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ইতিমধ্যেই তারা জানিয়ে দিয়েছেন ডিএ না পেলে তাঁরা নির্বাচনের কাজে যাবেন না। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে গিয়ে তাঁরা সেই কথা জানিয়েও দিয়ে এসেছেন। বুধবার তাঁরা সেই কথা জানিয়ে দেবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। ফলে এই বিষয়টিও চাপে রাখছে রাজ্য সরকারকে। এনিয়ে রাজ্য সরকার কী করে সেটাই দেখার।
এখন সমস্যার সুরাহা করতে রাজ্য সরকারের সামনে রাস্তা হল আয় বাড়ানো। কিন্তু জলকর বসানো, বাসভাড়া বৃদ্ধি-সহ অন্যান্য কর আদায়ের পথে হাঁটতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে একটা পথ হল বিভিন্ন দফতরে বরাদ্দ কমানো। এদিকে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফলে বেশকিছু প্রকল্প থেকে পিছু হঠে আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে সম্ভব নয়। আবার নতুন কোনও প্রকল্প ঘোষণা করার রাজ্যের পক্ষে শক্ত। তবে শোনা যাচ্ছে, রাজ্যজুড়ে যে গ্রামীণ রাস্তা তৈরি, সারাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই খাতে বরাদ্দ রাখা হবে বাজেটে।
এবার বাজটে রাজ্যে শিল্প চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কিছু বলেন কিনা সেটাই দেখার। কারণ সম্প্রতি রাজ্যের শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে বহু আশার কথা শুনিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন রাজ্যে নতুন শিল্প আসবে। ফলে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। ফলে এবারের বাজেটে সেদিকেও নজর থাকবে রাজ্যবাসীর।