Home> কলকাতা
Advertisement

জুলাইতে বিএড, মায়ের কাছে শুধু চাকরির কথাই বলতেন উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতকোত্তর অনন্যা

জুলাইয়ে কলেজ থেকে সার্টিফিকেট আনতে গিয়ে দেখা হয়েছিল বন্ধুদের সঙ্গে। বন্ধুদের সঙ্গে অনেক গল্পও করেছিলেন। মাত্র চার মাসের মাথাতেই অনন্যার এভাবে মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না অনন্যার বন্ধু থেকে সহপাঠীদের কেউই। কৃতী ছাত্রী অনন্যা অন্তর্মুখী স্বভাবের ছিলেন বলেই জানিয়েছেন বাড়ির লোকেরা।

জুলাইতে বিএড, মায়ের কাছে শুধু চাকরির কথাই বলতেন উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতকোত্তর অনন্যা

নিজস্ব প্রতিবেদন : চাকরির জন্য স্বামী-শ্বশুরবাড়ির মানসিক লাগাতার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার আত্মঘাতী হয়েছেন বাঁশদ্রোণীর বধূ অনন্যা। বিয়ের মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই আত্মঘাতী হয়েছেন ২৭ বছরের তরুণী। তাঁর যোগ্যতা নেই। 'একটা চাকরি জোগাড় করতে পারে না। মেয়েকে প্রতিদিন শুনতে হত এই গঞ্জনা', শনিবার ২৪ ঘণ্টার সামনে একথাই বললেন সদ্য কন্যাহারা বিহ্বল মা।

এদিন অনন্যার মা ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, "মাসখানেক ধরে শুধু একটাই কথা বলত। মা আমাকে চাকরি করতে হবে। নইলে আমি মা হতে পারব না।" বিয়ের ছয় মাস পর থেকে চাকরির জন্য অনন্যাকে চাপ দেওয়া শুরু হয় বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের আরেক সদস্যও। অনন্যার দিদির অভিযোগ, "ভগ্নিপতি অর্ণবই বোন অনন্যার মৃত্যুর জন্য দায়ী।"

পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন অনন্যা। উদ্ভিদবিদ্যা নিয়ে স্নাতকোত্তর পেরনোর পর বিএডও করেছিলেন তিনি। চলতি বছর জুনেই শেষ হয় বিএড-এর পাঠ। জুলাইয়ে কলেজ থেকে সার্টিফিকেট আনতে গিয়ে দেখা হয়েছিল বন্ধুদের সঙ্গে। বন্ধুদের সঙ্গে অনেক গল্পও করেছিলেন। মাত্র চার মাসের মাথাতেই অনন্যার এভাবে মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না অনন্যার বন্ধু থেকে সহপাঠীদের কেউই।  

কৃতী ছাত্রী অনন্যা অন্তর্মুখী স্বভাবের ছিলেন বলেই জানিয়েছেন বাড়ির লোকেরা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, অনন্যার শ্বশুর-শাশুড়ি এখানে না থাকলেও তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন চলত।

আরও পড়ুন, চাকরি না করলে মিলবে না মা হওয়ার অনুমতি, অপমানে আত্মঘাতী বাঁশদ্রোণীর বধূ

শুক্রবার সকালে নিজের ঘরেই উদ্ধার হয় অনন্যার দেহ। স্বামী অর্ণব দাবি করেছেন, তিনিই অনন্যার ঝুলন্ত দেহ ওড়নার ফাঁস কেটে দেহ নামান। অনন্যার বাপের বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা যখন অনন্যার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পৌঁছান তখনও গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বিছানাতেই শোওয়ানো ছিল দেহ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে স্বামী অর্ণব সাঁইকে।

Read More