নিজস্ব প্রতিবেদন : আড়াই বছরের ঐত্রেয়ীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কাঠগড়ায় আমরি হাসপাতাল। হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিত্সায় গাফিলতি এবং উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে মৃত শিশুর পরিবার। বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থও হয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে, মৃত শিশুর হার্টে কোনও সমস্যা ছিল কি না। সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের দ্বারস্থ হয়েছে কলকাতা পুলিস।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মৃত শিশুর হৃদপিণ্ডের টিস্যুর নমুনা পাঠিয়েছে পুলিস। ওই টিস্যু নমুনার 'হিস্টোপ্যাথোলজিক্যাল' টেস্ট করা হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই নিশ্চিত করে জানা যাবে, একরত্তি ঐত্রেয়ীর হার্টে কোনও সমস্যা ছিল কি না। তবে ঐত্রেয়ীর পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়ের হৃদপিণ্ডে কোনও সমস্যা ছিল না।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছে মৃত শিশুর পরিবার। মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ঐত্রেয়ীর বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের উদাসীনতা ও পরিকাঠামোগত ত্রুটির কারণেই মৃত্যু হয়েছে একরত্তি মেয়ের। মৃত শিশুর মায়ের অভিযোগ, "আমরি কর্তৃপক্ষ মিথ্যা কথা বলছে। ঘুমের মধ্যে অগমেনটেন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল। যার ফলেই মেয়ের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।"
বুধবার মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালে মৃত্যু হয় আড়াই বছরের ঐত্রেয়ীর। অভিযোগ, প্রয়োজনের সময় বেবি অক্সিজেন মাস্ক দিতে পারেনি হাসপাতাল। এমনকী, ঘুমের মধ্যে শিশুটিকে ভুল ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়। আর তারপরই শুরু হয় খিঁচুনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ঐত্রেয়ী।
আরও পড়ুন, ঘূর্ণাবর্ত সরতেই পড়ল পারদ, এখনই বিদায় নিচ্ছে না ঠান্ডা
কিন্তু তারপরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও সহানুভূতি তো জোটেইনি, উল্টে আমরির ইউনিট হেড জয়ন্তী চ্যাটার্জির আঙুল তুলে শাসানির ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার পূর্ব যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃত শিশুর পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শুক্রবার তলব করা হতে পারে জয়ন্তী চ্যাটার্জিকে। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় আমরি কর্তৃপক্ষও মৃত শিশুর পরিবারের বিরুদ্ধে হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগ জানিয়েছে থানায়।
আরও পড়ুন, মস্তানি করবেন না, আমার থেকে বড় মস্তান কেউ নেই, শাসানি আমরি প্রধানের