Home> কলকাতা
Advertisement

আবেশ দাশগুপ্তর মৃত্যু রহস্য আরও জটিল করে তুলছে সিসিটিভি ফুটেজই

আবেশ দাশগুপ্তর মৃত্যু নিছকই দুর্ঘটনা। বলছে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তা আদৌ স্পষ্ট হচ্ছে কোথায়? বরং রহস্য আরও জটিল করে তুলছে এই সিসিটিভি ফুটেজই।

আবেশ দাশগুপ্তর মৃত্যু রহস্য আরও জটিল করে তুলছে সিসিটিভি ফুটেজই

ওয়েব ডেস্ক: আবেশ দাশগুপ্তর মৃত্যু নিছকই দুর্ঘটনা। বলছে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তা আদৌ স্পষ্ট হচ্ছে কোথায়? বরং রহস্য আরও জটিল করে তুলছে এই সিসিটিভি ফুটেজই।

৬ নম্বর সানিপার্কের বাড়িতে ঠিক কী হয়েছিল? সত্যিই কী পড়ে গিয়ে জখম হয়েছিল আবেশ দাশগুপ্ত? এই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই দুর্ঘটনা তত্ত্ব খাড়া করেছে পুলিস।

কী দেখা যাচ্ছে ফুটেজে?

ফুটেজে প্রথমে দেখা যাচ্ছে, বান্ধবীদের পিছন পিছন যাচ্ছে এক কিশোর। পুলিসের দাবি এই হল আবেশ। আর এই কিশোরের হাতেই রয়েছে মদের বোতল! এরপর সবাই মিলে তারা দেওয়ালের পিছনে চলে গেল। সেখানে কিছু একটা হল তাও বোঝা যাচ্ছে। দেওয়ালের ওপারে কী হল? কিছু তো একটা ঘটল। তা বোঝাও যাচ্ছে। কিন্তু কী হল? ফুটেজে তা স্পষ্ট নয়। বাড়ির ওই অংশে কোনও সিসিটিভি নেই। ফলে ফুটেজ মেলেনি। ফলে এই সময়ের মধ্যে দেওয়ালের ওপারে কী হল তা জানা যাচ্ছে না। এর পরেই শুরু হয়ে যাচ্ছে দৌড়াদৌড়ি। প্রথমে আবেশের এক বান্ধবী দৌড়ে গেল। তার পর আরেও দুজন। এরপরেই দেখা গেল র‍্যাম্পের উপর দিয়ে টলতে টলতে আসছে আবেশ হাতে তখনও মদের বোতল।

এর পর কী হল?

টলতে-টলতে আবেশ পড়ে গেল। র‍্যম্পের উপরেই পড়ল আবেশ। যেভাবে আবেশ পড়ে গেল, তাতে মনে হচ্ছে এভাবেই পড়ে যায় সে। এর পরেই ফের র‍্যাম্পের উপর উঠে আসে আবেশ। তখনও তার হাতে মদের বোতল। বন্ধুদের এক ঝটকায় সরিয়ে দেয় সে। আর এই ফুটেজই সামনে আনছে একের পর এক প্রশ্ন।

প্রশ্ন ১- পরে যাওয়ার পরেও আবেশের হাতে বোতল এল কী করে?

প্রশ্ন ২- বলা হচ্ছে বোতল ভেঙে জখম হয় আবেশ। তাহলে পড়ে যাওয়ার পরেও তার হাতে আস্ত বোতল এল কী করে? পড়ে যাওয়ার পর আবেশের বডি ল্যাঙ্গুয়েজও প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।

প্রশ্ন ৩- বন্ধুদের এভাবে ঝটকা দিয়ে আবেশ সরাল কেন? তাদের মধ্যে কী কোনও ঝামেলা হয়েছিল? অ্যাক্সিলারি আর্টারিতে চোট লাগলে এভাবে হেঁটে যাওয়া কী আদৌ সম্ভব? এভাবে ঝটকা দিয়ে বন্ধুদের সরানো সম্ভব?

দেওয়ালের ওপারে ঠিক কী হয়েছিল? কেন ওভাবে আবেশের বন্ধুরা ছোটাছুটি করছিল। সেসব প্রশ্নের জবাব মিলবে তখনই জখন আবেশের বন্ধুরা মুখ খুলবে।

Read More