অর্ণবাংশু নিয়োগী: স্কুলে অনুষ্ঠানের অনুমতি না দেওয়ায় বদলি? এমনকী, পাঁচ মাস ধরে বন্ধ বেতনও! বোলপুর পুরসভার তৃণমূল ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করলেন শিক্ষিকা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মামলাকারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ডিসেম্বরে মামলার পরবর্তী শুনানি।
জানা গিয়েছে, মামলাকারীর নাম ঋতুপর্ণা ঘোষ। বোলপুরের রবীন্দ্র শিক্ষানিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিচার ইনচার্জ পদে কর্মরত তিনি। ২০১৪ সালে বীরভূমেরই নানুরের সাওতা কিরণশশী প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। বাড়ির কাছে স্কুলে বদলি আবেদন জানান তিন বছর পর, ২০১৭ সালে। প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষিকার দাবি, চাকরিতে যোগ দেওয়ার এক বছর পর দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে মামলাকারীর বদলির আবেদন মঞ্জুর করে শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন: চোখের সামনেই খুন-আত্মহত্যা, রাতভর হত্যাপুরীতে নিথর বাবা-মাকে পাহারা ৪ বছরের খুদের!
২০১৯ সালে অক্টোবরে বোলপুরের রবীন্দ্র শিক্ষানিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিচার ইনচার্জ পদে যোগ দেন ঋতুপর্ণা। কিন্তু ২০২১ সালে ফের বদলির নোটিশ দেওয়া হয়! এবার বোলপুরে যাদবপুর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে অস্থায়ী প্রাথমিক শিক্ষক পদে। কেন? রবীন্দ্র শিক্ষানিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিবেশ নষ্ট করে অনুষ্ঠান করার অভিযোগ ওঠেছিল স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অমর শেখের বিরুদ্ধে। তিনি আবার বোলপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। টিন ইনচার্জ ঋতুপর্ণা ঘোষের অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলরকে আর স্কুলে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া দেননি। সেকারণেই এই বদলি। শুধু তাই নয়, এ বছরের এপ্রিল মাস থেকে বেতনও পাচ্ছেন না তিনি।
এর আগে, হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে এক শিক্ষিকার বদলি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পুরানো স্কুলেই যোগ দিতে বলেছিলেন মামলাকারীরা। ঘটনাটি ঠিক কী? ২০১৬ সালে শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন শান্তা মন্ডল। এরপর প্রধান শিক্ষিকার হওয়ার জন্য় পরীক্ষায় বসেন ২০১৯ সালে। পাস করার পর, আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া স্কুল যোগ দিতে বলা হয় তাঁকে। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই ওই শিক্ষিকাকে ফের বদলি হয়ে যান বলে অভিযোগ। কোথায়? শিলিগুড়িরই অমিয় পাল চৌধুরী স্কুলে। কিন্তুj প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে ফের শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যালয়েই যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন শান্তা মণ্ডল। এরপরই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাটির চূড়ান্ত হয় হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে।