ওয়েব ডেস্ক: বছরের শেষদিন। তায় শনিবার। উইক এন্ডে বর্ষবরণের আনন্দ। একত্রিশে দিনভর ঘর ছেড়ে বারমুখী মানুষ।
ষোলো পেরিয়ে সতেরোয় পড়ছি। আমরাও। নতুনকে স্বাগত জানাতে, আর পুরনোকে বিদায় দেওয়ার মুহূর্তে চেটেপুটে নেওয়ার আনন্দ। অ্যামিউজমেন্ট পার্ক থেকে পিকনিক স্পট, কিম্বা চিড়িয়াখানা, সর্বত্র উপচে পড়া ভিড়। শহরের দূষণ থেকে একটু দূরে ফ্রেশ এয়ার নেওয়া যায়। ইকো পার্ক তাই লোক টেনেছে ভালোই। গ্রুপে হোক, কিম্বা শুধু দুজনে , বা কচিকাঁচাদের দলে, সবারই আজ বাধভাঁঙা আনন্দ।
বছর শেষের দিন। রোদ ঝলমলে। চিড়িয়াখানায় ভিড়। খাঁচার বাইরে উত্সাহী জনতা। তবে ওদের তো এটাই ঘরবাড়ি। তাই খাঁচার ভিতর আরামে রোদ পোহাতে ব্যস্ত বাঘ, হরিণ, জিরাফরা। চিড়িয়াখানার এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত হেঁটে ক্লান্ত হলে আইসক্রিম তো রয়েইছে। আর এই হুল্লোড়ের ছবি মোবাইল বন্দি হবে না? তাও কি হয়?
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালেও বেজায় ভিড়। লম্বা লাইনের জন্য ভিতরে ঢোকাই হল না কতজনের। তাবলে কি সেলফি হবে না? নিয়ম মেনেই দিনশেষে সূর্য গেল পাটে। কিন্তু শনিবারের সূর্য একটু অন্যরকম ছিল বৈকি। আহ্নিক গতিতে শেষ হল একটা দিন। বার্ষিক গতিতে শেষ হল আরও একটা বছর। রবিবার ভোরে আবার সূর্য উঠবে। সেটা নতুন বছরের সূর্য, দুহাজার সতেরোর সূর্য। নতুন বছরকে বরণ করতে সেজে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট। সেজেছে সপ্তাহ দুয়েক ধরেই। শনিবার রাতে ক্লাইম্যাক্স।