Home> স্বাস্থ্য
Advertisement

বছর শেষের আগেই দেশে আসতে পারে করোনা প্রতিষেধক! অনবরত কাজ করে যাচ্ছে ১৭২ টি দেশ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মোট ৩৩ টি প্রতিষেধক নিয়ে কাজ চলছে এখন।

বছর শেষের আগেই দেশে আসতে পারে করোনা প্রতিষেধক! অনবরত কাজ করে যাচ্ছে ১৭২ টি দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০২০ সাল বিশ্বমারীর হলে ২০২১ হতে পারে প্রতিষেধকের। কারণ ২০২১ সালের মধ্যেই বিশ্ববাসীর হাতে আসতে পারে একাধিক প্রতিষেধক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, বছর শেষের আগেই ভারতের হাতে আসতে পারে অন্তত একটি প্রতিষেধক। দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডের (Covishield) দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন (COVAXIN) ও জাইডাস ক্যাডিলার জাইকোভ-ডিরও (ZyCov-D) দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।

ফেজ- ৩ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মোট ৩৩ টি প্রতিষেধক নিয়ে কাজ চলছে এখন। তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে মোট ৯ প্রতিষেধক। তৃতীয় পর্যায়েই বড় সংখ্যার মানুষের মধ্যে ট্রায়াল চালিয়ে প্রতিষেধকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া  সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তাই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ফেজ-৩ ট্রায়াল।

কোন পর্যায়ে রয়েছে প্রতিষেধকগুলি?
প্রতিষেধক তৈরিতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। কিন্তু পরিস্থিতি মাথায় রেখে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে  প্রত্যেকটি দেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার COVAX গ্লোবাল ভ্যাকসিনস ফেসিলিটির সঙ্গে কাজ করছে মোট ১৭২ টি দেশ।  ২০২১ সাল শেষের আগেই ২ বিলিয়ন প্রতিষেধক প্রস্তুত করার চেষ্টায় রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশগুলি আগে থেকেই প্রতিষেধক নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে বসে আছে। প্রতিষেধক এলেই যাতে তারা হাতে পায়। ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে নোভাভ্যাক্সের। জাপান চুক্তি করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজারের সঙ্গে। স্বভাবতই ইঙ্গিতটা স্পষ্ট, প্রতিষেধকের কার্যকারিতা প্রমাণ হলেই হাতে হাতে চলে আসবে মারণ ভাইরাস রোখার দাওয়াই।

আরও পড়ুন: করোনার টিকা বাজারে ছাড়ার তোড়জোড় শুরু আমেরিকায়, মিলতে পারে ১ নভেম্বর!

Read More