নিজস্ব প্রতিবেদন: গত দুবছর ধরে বিশ্ব লড়াই করছে করোনা অতিমারির সঙ্গে। এরমাঝেই নতুন আশঙ্কার কথা শোনাল WHO। এবারের টার্গেট শিশুরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) একটি রহস্যময় অসুস্থতার বিষয়ে সতর্ক করছে। এই রোগের ফলে শিশুদের মধ্যে গুরুতর লিভারের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মূলত এক মাস থেকে ১৬ বছর বয়সীদের মধ্যেই এই সমসয়া দেখা দিচ্ছে বলে WHO-এর তরফে জানানো হয়েছে। অ্যাকিউট হেপাটাইটিস বলে অভিহিত করা হলেও, এই রোগের উৎস সম্পর্কে এখনও কোনও নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তা মূলত শিশুদের মধ্যেই ছড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।
কোনও অভিভাবক যদি দেখেন বাড়িতে শিশুদের মধ্যে লিভার সংক্রান্ত সমস্যার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানাচ্ছে WHO।
এখনও পর্যন্ত, ১২টি দেশে এই সমস্যা সংক্রান্ত ১৬৯টি রিপোর্ট সামনে এসেছে। মৃত্যু হয়েছে ১ শিশুর। এছাড়াও ১৭ শিশুর লিভার প্রতিস্থাপন করতে হয়েছে।
কী দেখলে বুঝবেন শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত?
WHO জানাচ্ছে, কোনও শিশু যদি বারবার পেটে ব্যথার কথা বলে এবং সেই সঙ্গে ডায়েরিয়া, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত। তারা এও জানিয়েছে যে বেশিরভাগ শিশু হেপাটাইটিস হয়েছে তারা জ্বরের লক্ষণ ছিল না।
আমেরকার CDC জানিয়েছে হেপাটাইটিস এবং লিভারে প্রদাহের লক্ষণগুলি হল জ্বর, ক্লান্তি, ক্ষিদে কমে যাওয়া, বমি ভাব, পেটে ব্যথা, গাঢ় প্রস্রাব, হালকা রঙের মল, গাঁটে ব্যথা এবং জন্ডিস। আডিনোভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় এবং এবং মূলত শ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি করে। কিন্তু এর ধরনের উপর ভিত্তি করে পেটের সমস্যা, কঞ্জাংটিভাইটিস, সিসটিটিসের মত রোগও হতে পারে। আডিনোভাইরাস টাইপ ৪১-এর ফলে সাধারনত ডাইরিয়া, বমি, জ্বর এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হয়।
কোথায় হচ্ছে এই সংক্রমণ?
ইংল্যান্ডে ১১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে। এরপরেই রয়েছে স্পেন। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩। ইসরায়েলে আক্রান্ত হয়েছে ১২ জন। আমেরিকা, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, নরওয়ে, রোমানিয়া এবং বেলজিয়ামেও এর রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে।
কী বলছে আমেরিকার CDC?
আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) হেপাটাইটিস এবং অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়া শিশুদের একটি সম্পর্কে চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলিকে জানানোর জন্য একটি দেশব্যাপী স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে। সকল চিকিৎসকদেরকে এই লক্ষণগুলির দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।