Subhashree Ganguly, সৌমিতা মুখোপাধ্যায়: বিগত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কটের মুখে পড়েছে বেশ কয়েকটা ছবি। সেখানে যেমন রয়েছে হিন্দি ছবি, সেরকমই রয়েছে দুটি বাংলা ছবিও। দুটি ছবিতেই অন্যতম মুখ্য চরিত্রে দেখা গেছে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়কে। এবার তাঁর অভিনীত মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠান ‘সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী’ বয়কটের ডাক দিয়েছে নেটপাড়ার একাংশ। কিন্তু কী কারণে এই বয়কটের ডাক? কিছুদিন আগেই সপরিবারে অজমেঢ় শরিফ গিয়েছিলেন শুভশ্রী। সেখানে দরগায় চাদর চড়িয়ে হিন্দু মৌলবাদীদের কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী ও তাঁর পরিবার। সম্প্রতি দুর্গারূপে তাঁকে দেখে ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হয়েছে নেটপাড়ার একাংশ।
আরও পড়ুন: Nusrat Jahan-Raj Kundra: নুসরত জাহানের সঙ্গে একঘরে রাজ কুন্দ্রা...
মহালয়া উপলক্ষে জি বাংলায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী’। সেই শোয়ে দুর্গার সাজে দেখা যায় শুভশ্রীকে। নায়িকাকে এর আগেও দেখা গেছে দুর্গারূপে তাই যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই শোয়ের প্রোমো সামনে আসে তখন কেউ তাঁর প্রশংসা করেন কেউ আবার নতুন কাউকে দেখার আবদার জোরেন। এরই মাঝে কেউ কেউ শুভশ্রীর এই অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দেন। প্রোমোর একটি সিনের সঙ্গে রাজামৌলির ছবি ট্রিপল আরের মিল খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা। সেই সিনের সঙ্গে মিল বের করেও কটাক্ষ করতে পিছপা হয়নি নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন:Web Series: ৩৭০০ কোটি টাকার ওয়েব সিরিজ! প্রথমদিনেই গড়ল রেকর্ড
এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘আচ্ছা প্রত্যেক বছর এক জনকে ভালোলাগে দুর্গা করতে? একটু আলাদা স্বাদ নিয়ে আনুন না। শুভশ্রী দি অবশ্যই ভালো তবে বিশ্বাস করুন মানুষ নতুন কিছু চাই। আর আপনারা শুধু টিআরপির জন্য নিজেদের ইচ্ছা মতো করেন। মানুষের চাওয়া পাওয়ার কোন মূল্য নেই।’ অন্য এক নেটিজেন লেখেন, ‘এই মহালয়া বয়কট করা উচিত’, দুর্গার ধেয়ে আসাকে কেউ তুলনা করেছেন স্পাইডারম্যানের সঙ্গে কেউ আবার বাদুড়ের সঙ্গে। এর মাঝে কেউ কেউ আবার টেনে এনেছেন অজমেঢ় শরিফে শুভশ্রীর ছবি। অভিনেত্রীর অভিনীত মহালয়া বয়কট করার দাবি করতে শুরু করে এক নেটিজেন লেখে, ‘দেবী দুর্গারূপে আমরা এমন কাউকে দেখতে চাইনা যারা প্রতিপদে সনাতন ধর্মকে পরিহাস করে ইসলামকে অন্তরে ধারণ করে।’
আরও পড়ুন: Nusrat Jahan: লোকে যা বলে বলুক, নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে আরও উষ্ণ নুসরত!
এই বয়কট প্রসঙ্গে শুভশ্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিনেত্রী জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে জানান, ‘যারা ধর্ম নিয়ে এগুলো করছে তারা অশিক্ষিত, তাঁদের জীবনে কোনও কাজ নেই, অযোগ্য, অপাক্তেয়, ফেসলেস কিছু মানুষ। আমি এদের নিয়ে কোনও কথাই বলতে চাই না। এরা কী বলল না বলল সেটা আমাকে স্পর্শও করে না। আমার এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য, কোনও প্রতিক্রিয়া নেই এই বিষয়ে। কারণ যারা এগুলো করছে তাদের থেকে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ আমার মহালয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছেন। তাঁদের প্রতিই আমার সমস্ত মনোযোগ।’