জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেকের(KK) মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় চূড়ান্ত হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছিল রূপঙ্কর বাগচীকে(Rupankar Bagchi)। এরপর থেকে একটু হলেও প্রচারের আলো থেকে সরে দাঁড়ান গায়ক। সেই সময় কোণঠাসা অবস্থাতে পড়লেও ধীরে ধীরে ফিরেছেন স্বাভাবিক জীবনে। সম্প্রতি দিদি নম্বর ওয়ানের(Didi No.1) মঞ্চে এসে সেই দুঃসহ সময় ফিরে দেখলেন রূপঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী চৈতালী। তাঁরা ছাড়াও এদিন সস্ত্রীক খেলতে এসেছিলেন জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপাঞ্জন জ্যাক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়।
দিদির মঞ্চে এসে তাঁদের বৈবাহিক জীবনের খুনসুটি, মজার গল্প শোনালেও রূপঙ্কর বাগচী এবং তাঁর স্ত্রী তুলে ধরলেন একসঙ্গে তাঁদের লড়াইয়ের কথাও। স্বভাবতই সেখানে আসে কেকে প্রসঙ্গও। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রূপঙ্করের স্ত্রী বলেন, তোমার এখানে অনেক দিদিরা এসেছেন, তাঁদের জীবনের লড়াইয়ের গল্প বলেন, আমি তাঁদের গল্প দেখি। ওঁদের গল্প শুনে মনে হয় আমার লড়াইটা কিছুই না। আমরা জীবন যখন শুরু করেছিলাম তখন শূন্য থেকে শুরু করেছিলান। আমার কখনও ভয় হয়নি যে কী হয়ে যাবে, কোথায় পৌঁছে যাব বা কী হবে? আমি একমাত্র উদ্বেগে ছিলাম, আমার মেয়েকে নিয়ে।'
কলকাতায় কেকে-র কনসার্ট প্রসঙ্গে বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলেছিলেন গায়কষ দুর্ভাগ্যবশত সেই কনসার্টের পরে কলকাতাতেই প্রয়াত হন কেকে। তারপর রূপঙ্কর সহ তাঁর গোটা পরিবারকে পড়তে হয়ে চরম কটাক্ষের মুখে। স্ত্রীর কথা শুনে চোখে জল চলে আসে রূপঙ্করের। চৈতালী বলেন, 'সময়টা খুব খারাপ গেছে, কাউকে কখনও যেন এই অবস্থায় পড়তে না হয়।'
স্ত্রীর কথার রেশ টেনেই গায়ক বলেন, 'ও ঠিকই বলছে। আমরা সবচেয়ে বেশি চিন্তিত ছিলাম আমাদের মেয়েকে নিয়ে। ও কীভাবে রিয়্যাক্ট করছে, সেটা চিন্তার ছিল। কারণ সামাজিক মাধ্যমে ওকে যা যা ফেস করতে হয়েছে সেটা কোনও বাবা মা চান না যে তাঁর সন্তানকে ফেস করতে হোক। আমার গর্ব হয় যে আমার পাশে যে দুজন রয়েছেন, আমার স্ত্রী ও মেয়ে, যাঁদের সঙ্গে আমার বেশি সময় কাটে, আমার আর কোনও কিছুরই দরকার নেই যদি ওরা আমার পাশে থাকে। এটুকু বলতে পারি।’