মৌপিয়া নন্দী
'জি ২৪ ঘণ্টা'কে দেওয়া একান্ত এক্সক্লুসিভ এক সাক্ষাৎকারে নন্দন-প্রশ্নে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রিত না হওয়ার বিষয়ে মিঠুনকে বলা হয়, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চ তারকাখচিত, কে নেই সেখানে! কিন্তু সেখানে মিঠুন চক্রবর্তী নেই! তিনি কি কষ্ট পেয়েছেন?
আরও পড়ুন: Dev | Mithun Chakraborty: ‘কাউকে ছোট করে প্রজাপতিকে বড় বানাতে চাই না’, বিতর্কের জবাব দিলেন দেব
শুনে মিঠুন বলেন-- দ্যাট ডাজ নট মেক এনি ডিফারেন্স ...। যখন আপনি আমাকে নেমন্তন্ন করেননি, ডাকেননি, ঠিক সেই সময়ে সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল আমাকে 'গেস্ট অফ অনার' করার জন্য নেমন্তন্ন করেছে। এখানে (নন্দনে) এলে হয়তো আমি ঘুরে বেড়াতাম। কিন্তু ওখানে গেস্ট অফ অনার। তবুও আমি যাইনি। শ্যুটিংয়ের জন্য যেতে পারিনি। না করে দিয়েছি ওদের। তো, দ্যাট ডাজ নট মেক এনি ডিফারেন্স, যে, কে ডাকল আর কে ডাকল না।
আরও পড়ুন: Protest Against Pathaan: ফের বিক্ষোভের মুখে শাহরুখের ‘পাঠান’, সুরাটে ছিঁড়ে ফেলা হল পোস্টার...
'জি ২৪ ঘণ্টা'র তরফে তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, তিনি স্বয়ং হয়তো কষ্ট পাননি, কিন্তু তিনি তো 'সান অফ দ্য সয়েল' (এর একটা আবেগ রয়েছে, ভক্তদের প্রত্যাশা রয়েছে)। তা ছাড়া এখনও একটা রেকর্ড তাঁর দখলে-- এক বছরে সব চেয়ে বেশি সংখ্যক ছবিতে হিরোর ভূমিকায় অভিনয় করার। তা ছাড়া তিনি নিজমুখে হয়তো নিজের কৃতিত্বের কথা সেভাবে বলতে চান না, কিন্তু অক্সফোর্ডও তো তাঁকে সম্মানিত করেছে।
এরপরই মিঠুন পুরো বিষয়টি বিশদে ব্যাখ্যা করার ইঙ্গিত দিয়ে নড়েচড়ে বসেন। চিঠি দেখান, মোবাইল ফোন থেকে ইনভিটেশন কার্ড দেখান। বলেন-- দেখুন, এই হল সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন ফিল্ম ফেস্টভ্যাল মুম্বই-এর চিঠি। এখানে আমি 'গেস্ট অফ অনার'। (এরপর মোবাইল এগিয়ে দিয়ে) এবার দেখুন। ডিজিটাল সেই ইনভিটেশনে যা লেখা আছে তার মর্মার্থ-- ১৯৯৫ সালে 'দ্য অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি মজলিশ এশিয়া সোসাইটি' তাঁকে সম্মানিত করেছিল।
'দ্য অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি মজলিশ এশিয়া সোসাইটি' প্রসঙ্গে মিঠুন বলেন-- এটা কিন্তু পয়সা দিয়ে নয়। ওরা আমাকে নিয়ে গিয়েছে। আমি লন্ডন গিয়েছি। লন্ডন থেকে অক্সফোর্ড নিয়ে গিয়েছে। ওটা অনেকটা দূর। ওখানে হোটেলে রেখেছে, খাইয়েছে। আমার সঙ্গে এশিয়ান স্টুডেন্টদের ইন্টাব়্যাক্ট করিয়েছে। সবাইকে ডিনার খাইয়েছে। সব ছাত্রদের চাঁদার পয়সায়।
মিঠুন ওই বিরল ও বিশেষ সম্মান বিষয়ে আরও একটু ব্যাখ্যা দেন 'জি ২৪ ঘণ্টা'কে। তিনি বলেন--দুটো ভাগ আছে। একটা 'অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি মজলিশ এশিয়া সোসাইটি। অন্যটা 'ইউরোপিয়ান সোসাইটি মজলিশ'। সেই বছরে এই 'ইউরোপিয়ান সোসাইটি মজলিশ' সম্মান দেওয়া হয়েছিল ফুটবল লেজেন্ড মারাদোনাকে, আর 'অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি মজলিশ এশিয়া সোসাইটি' ডেকেছিল এই অধমকে, যে ২০/সি মথুর সেন গার্ডেন লেনের বাড়িতে জন্ম নিয়েছিল, তাকে, এই বাঙালিকে!