নিজস্ব প্রতিবেদন: গরমে নাজেহাল কলকাতা সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। বেড়েই চলেছে গরমের প্রভাব। গরমে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় সাধারণ মানুষের। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কলকাতায় এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দরকারি কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে পা না রাখাই ভালো। তাপপ্রবাহের(Heatwave) প্রভাব পড়েছে সিনেমা ধারাবাহিকের আউটডোর শুটিংয়েও(Outdoor Shooting)।
বর্তমানে বেশ কয়েকটি ছবির শুটিং চলছে কলকাতার আনাচে কানাচে। এছাড়াও ধারাবাহিকেরও শুট চলছে। কয়েকটি ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য় অনুযায়ী তাঁদের আউটডোরে শুট না করলেই নয়। যেমন উড়ন তুবড়ি। এই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র একটি দোকান চালায়, অতএব কোনওভাবেই তাঁদের সম্পূর্ণ ইন্ডোরে শুট করা সম্ভব নয়। তাই এগিয়ে আনা হয়েছে তাঁদের কলটাইম। অনেক সকালেই শুরু করা হচ্ছে শুটিং। মেকআপ ঠিক রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মেকআপ আর্টিস্টদের। তাই সেটে এসির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, বাড়ানো হয়েছে স্ট্যান্ডিং ফ্যানের সংখ্যা, ঠান্ডা জল ও মসলিন টাওয়ালেরও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আরেকটি ধারাবাহিক উমা যাঁরা বাধ্য হচ্ছেন সূর্যালোকে শুট করতে। কারণ সেই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র ক্রিকেট খেলেন। সেটে এনার্জি ড্রিংকস, নারকেল পানি, দই, ফলের ব্যবস্থা রাখা আছে। দুপুরের রোড এড়াতে ভোর থেকেই শুরু হচ্ছে শুটিং। সবাইকে শুটিং বন্ধ থাকার সময়ে এসিতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে যে যে মেগা সিরিয়ালে সম্ভব সেইসব ধারাবাহিকের আউটডোর শুটিং বন্ধ রাখা হয়েছে। তাপপ্রবাহের কথা মাথায় রেখে কোনও কোনও ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য়ও বদলে ফেলা হয়েছে। শুধুমাত্র তাপমাত্রার কথা মাথায় রেখে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর তিনটি ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যে বদল এনেছেন । ধূলোকণা, খড়কুটো, গুড্ডি এই তিনটি ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য বদলেছেন তিনি। ধূলোকণা ও গুড্ডি ধারাবাহিকের শুট হওয়ার কথা ছিল সমুদ্রসৈকতে। কিন্তু বাইরে শুট করা সম্ভব হবে না বলেই গল্পে পরিবর্তন আনেন চিত্রনাট্যকার। গরম কমার পরেই সমুদ্রসৈকতে শুটিং করতে যাবে গোটা ইউনিট।