Jiah Khan Suicide Case final verdict, sooraj pancholi, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অভিনেত্রী জিয়া খানের আত্মহত্যার প্রায় এক দশক পর শুক্রবার তাঁর প্রেমিক অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। ২০১৩ সালের ৩ জুন, মুম্বইয়ের জুহুতে জিয়া খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ। কেন আত্মহত্যা করেন জিয়া, অভিযোগের তির ওঠে জিয়ার প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলির দিকে। শুক্রবার এই আত্মহত্যার মামলার চূড়ান্ত রায় দান করে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। গত ২০ এপ্রিল স্পেশাল জাজ এ এস সায়াদের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শেষ শুনানি হয়, সেদিনই রায় নেন তিনি। শুক্রবার দিন সেই রায় ঘোষণা করা হয়।
অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলি ও অভিনেত্রী জারিনা ওয়াহাবের ছেলে সুরজ পাঞ্চোলি। জিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সুরজ। অভিনেত্রীর ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে সুরজের সঙ্গে প্রেমের কথা উল্লেখ করেন জিয়া। অভিনেত্রী মা দাবি করেন, এটা আত্মহত্যা নয়, জিয়াকে খুন করেছে সুরজ। তবে দীর্ঘ ১০ বছর পর এই মামলার রায়ে বিচারপতি এএস সায়াদ বলেন যে, যথাযথ প্রমাণের অভাবে ৩২ বছর বয়সী সুরজ পাঞ্চোলিকে বেকসুর খালাস করা হল। এই মামলায় দোষী প্রমাণ হলে ১০ বছরের জেল হত অভিনেতার। এদিন মাকে সঙ্গে নিয়েই আদালতে হাজির হয়েছিলেন সুরজ।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের জুন মাস। জিয়া খান তাঁর মা রাবিয়া খানের সঙ্গে থাকতেন। সেখান থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল অভিনেত্রীর দেহ। নায়িকার ঘর থেকেই উদ্ধার হয় ছয় পাতার একটি সুইসাইড নোট। সেই সুইসাইড নোটে তাঁর ও অভিনেতা সুরজ পাঞ্চোলির সম্পর্কের কথা লেখেন। জিয়ার মা পুলিসকে জানায় যে সুরজ ও তাঁর পরিবার জিয়ার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। সুরজই ওকে আত্মহ্ত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে। এমনকী তাঁর মা দাবি করেন যে, সুরজই তাঁর মেয়ে হত্যা করেছে। জিয়ার আত্মহত্যা মামলায় ২০১৩ সালের জুন মাসে গ্রেফতার হন সুরজ, একমাস পর জামিনে ছাড়া পান অভিনেতা।
আরও পড়ুন- Baisakhi Banerjee| Sovan Chatterjee: ওজন নিয়ে খোঁটা, শোভনের পরামর্শে চোখের জল মুছলেন বৈশাখী!
জামিনে সুরজ ছাড়া পাওয়ার পরেই জিয়ার মা রাবিয়া খান বম্বে হাইকোর্টে আপিল করেন। বম্বে হাইকোর্ট সেই পিটিশন বাতিল করে এই মামলায় নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেন। এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সিবিআই শুরু করে নয়া তদন্ত। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনায় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সুরজের বিরুদ্ধে। সিবিআইয়ের দাবি, মুম্বই পুলিশ যে চিঠিটি বাজেয়াপ্ত করেছে, সেটি জিয়া খান লিখেছিলেন।
ওই নোটে জিয়া খানের সুরজ পাঞ্চোলির সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক, শারীরিক নির্যাতন এবং প্রেমিকের হাতে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের' কথা বলা হয়েছে। ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল আদালতে দেওয়া চূড়ান্ত জবানবন্দিতে সুরজ পাঞ্চোলি বলেন, মিথ্যা মামলায় তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি মিথ্যা প্রসিকিউশন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং যাকে আমি সত্যিই ভালোবাসি তাকে হারিয়েছি’।