Home> বিনোদন
Advertisement

দীপিকার শ্বশুর ও শাশুড়ি আদতে কেমন? খোলসা করলেন অভিনেত্রী

রণবীরও দীপিকাকে নিজের জীবনে পেয়ে বেশ খুশি তা তিনি বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। 

দীপিকার শ্বশুর ও শাশুড়ি আদতে কেমন? খোলসা করলেন অভিনেত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ১৪ ও ১৫ নভেম্বর কঙ্কোনি ও সিন্ধি রীতিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন রণবীর ও দীপিকা। বিয়ের পর থেকে দীপিকা যে তাঁর নতুন শ্বশুর বাড়ি ও নতুন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেশ খুশি তা তাঁর চোখে মুখে স্পষ্ট। তবে শুধু দীপিকাই নয়, রণবীরও দীপিকাকে নিজের জীবনে পেয়ে বেশ খুশি তা তিনি বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। 

সম্প্রতি 'সিম্বা'র প্রমোশনে গিয়ে নিজের নতুন খুশি দাম্পত্য জীবনের কথা বারবার বলেছেন। রণবীরের কথায়, ''আমি আর বেশি কিছু চাই না, কারণ আমি ভীষণই খুশি। এবছরে আমার জীবনে যা যা কিছু ঘটেছে তা আমার কল্পনারও বাইরে ছিল। দীপিকা আমাকে একটা স্বপ্নের বিয়ে উপহার দিয়েছে। আমার এখন নিজেকে ভীষণ ভাবে নিরাপদ ও খুশি মনে হয়। যে মনে হয় আমি স্বপ্নের মধ্যে রয়েছে। ''

fallbacks

অন্যদিকে ফিল্ম ফেয়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপিকাও রণবীরের সঙ্গে নিজের বিয়ে নিয়ে বলেন, ''আমার এখন নিজেকে ভীষণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত মনে হয়। যখন তুমি কোনও সম্পর্কে থাকবে তখনও ভীষণ চিন্তায় থাকবে। বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডের সম্পর্কের মধ্যে নিরাপত্তা সেভাবে থাকে না। কারণ, সবসময় সেটা বিয়ে পর্যন্ত নাও গড়াতে পারে। তবে এখন (বিয়ের পর) আমার একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল। ১৪ নভেম্বর যেদিন আমাদের বিয়ে হল, রণবীর আমার হাত ধরলো, সেদিন থেকে আমরা একে অপরের প্রতি অনেক বেশি দায়িত্বশীল হয়ে পড়লাম। তবে আমি বলছি না বিয়ে মানেই নিজের স্বাধীনতা চলে যায়, এমনটা হয়। এখন ও যত রাত পর্যন্তই সিনেমার প্রমোশনে ব্যস্ত থাকুক, দিনের শেষে বাড়ি ফিরে আসে। আরা ভোর ৪টে বের হলেও ঠিক সময়ে বাড়ি ফিরে আসে। প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্কটা একপ্রকার আর বিবাহিত জীবনটা প্রকার। বিয়ের আগে প্রেমিক প্রেমিকা খুব বেশি হয়ে একসঙ্গে বেড়াতে যেতে পারে, আবার দিনের শেষে একে অপেরের বাড়িতে ফিরে য়ায়। আর এখন আমরা দিনের শেষে একে অপরের কাছে ফিরে আসি। এখন জীবনটা বদলে গেছে, আমি এখন সন্ধেয় ওকে ফোন করি, ওর সবকিছু ঠিকঠাক ছিল কিনা জিজ্ঞাসা করি, তারপর ও কখন ফিরবে, রাতে কী খাবে এসব জিজ্ঞাসা করি।  ''

fallbacks

দীপিকা আরও বলেন, এর আগে মুম্বইয়ে আসার পর থেকে আমি গত ১৫ বছর প্রায় একাই কাটিয়েছি। তাই এখন জীবনটা অনেক সুন্দর। রণবীরের সঙ্গে প্রথমে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে ভয় পেয়েছি, কারণ এর আগে বহুবার আমার  বিশ্বাস ভেঙেছে, আমি ভেঙে পড়েছিলাম। তাই ২০১২তে রণবীরের সঙ্গে যখন আলাপ হল তখন বুঝেছিলাম আমাদের মধ্যে বিশেষ কিছু তো রয়েছে। তবে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে চাইনি প্রথমে, যদি আমি আরও অন্য কারোর প্রতি আকর্ষিত হই, ভবেছিলাম রণবীরের প্রতি আবেগ রাখবো না, তবে ৬ মাস যেতে না যেতেই আমি জড়়িয়ে গেলাম। ৬ বছরের দীর্ঘ সম্পর্কে আমারা একে অপরের সঙ্গে খুশি, আমাদের মধ্যে কখনো এমন বড় কিছু নিয়ে ঝগড়া হয়নি, যে সম্পর্ক ভেঙে যাবে। যখন ছোটখাটো বিষয়ে মতো বিরোধ হয়েছে, তখনও আমরা নিজেরা সময় নিয়ে সেটার সমাধান করেছি। ওনেক ওঠা পড়া ছিল সম্পর্কে। গত ৪ বছর আগে আমাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। আমি প্রথম থেকে একেবারেই নিরাপদ বোধ করতাম না। আমার আগের সম্পর্কগুলি থেকে আমার মধ্যে যে হতাশা তৈরি হয়েছিল যার খারাপ প্রভাব এই সম্পর্ক পড়ছিল, তবে রণবীর সবসময় আমায় বুঝেছে, প্রতি মুহূর্তে আগলে রেখেছে।।''

fallbacks

বিয়ের অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্তে শেয়ার করতে গিয়ে দীপিকা বলেন, ''আমার মা কন্যাদান করেন। সূর্য ওঠার পর মেহেন্দি লাগানো হয় আমার হাতে। সূর্যের সঙ্গে আমার ও রণবীরের একটা সম্পর্ক রয়েছে। আমরা দুজনেই সূর্য পছন্দ করি। বিয়ের প্রতিটা অনুষ্ঠান ঠিকঠাক ভাবে হয়েছে, কোনও কিছুতেই কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। বিয়ের পর সূর্যস্তের শেষে রণবীর আর আমি আমাদের প্রিয় গান জোর সাউন্ড দিয়ে শুনেছি। ''

শুধু এখানেই শেষ নয়। রণবীরের পরিবার ও তাঁ বাবা-মায়ের কথা বলতে গিয়ে দিপ্পি বলেন, ''রণবীরের বাবার কাছে আমি ওনার মেয়ের মতোই। ওর মায়ের কাছে আমি বন্ধু, আবার মেয়ে বটে। আমি আমার শাশুড়ি মা কে (অঞ্জু ভবনানী) আমার চরিত্রের ভালো ও খারাপ দুই দিকের কথাই বলতে পারি। রণবীরের বাবা ভীষণ ইমোশনাল উনি একটুতেই ভেঙে পড়েন আর ওর মা সবকিছুকে শান্ত ভাবে সামলে নেন। ওনারা এক্কেবারেই আমার বাবা মায়ের মতোই।  ''

fallbacks

রণবীর যে আমার ভীষণ ভালোবাসে তা আমি সবথেকে বেশি অনুভব করেছিলাম, সম্পর্কের প্রথমে রণবীরের থেকে অনেক বেশি টাকা আমি আয় করছিলাম, তখন সেসব নিয়ে রণবীরের মধ্যে কোনও ইগো তৈরি হয়নি। ওর মধ্যে কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। ও যেটা মুখে বলতো সেটাই করত, ও আমার প্রতি সবসময় সৎ ছিল। সব কথা আমায় বলতো। কিছুদিন আগেও ও ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ও যখন বলেছে আমি ওকে আগলে রেখেছি। এটা শুনে ও জেনে আমার ভীষণ আনন্দ হয়েছে।

Read More