Home> বিনোদন
Advertisement

Padi Pishir Barmi Baksha: হারিয়ে গিয়েছে 'পদি পিসির বর্মী বাক্স'! প্রিন্টের সন্ধানে হন্যে তপন সিংহ-অরুন্ধতীর ছেলে

Arundhati Devi: ১৯৭২ সালে অরুন্ধতী দেবীর তৈরি এই বাংলা অ্যাডভেঞ্চার কমেডি ছবি লীলা মজুমদারের লেখা ছোটদের উপন্যাস। আর সেই সিনেমারই কিনা একটি প্রিন্টও নেই। পরিচালকের প্রথম এবং একমাত্র হোম প্রোডাকশনের ছবির একটিও প্রিন্ট এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

Padi Pishir Barmi Baksha: হারিয়ে গিয়েছে 'পদি পিসির বর্মী বাক্স'! প্রিন্টের সন্ধানে হন্যে তপন সিংহ-অরুন্ধতীর ছেলে

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'পদি পিসির বর্মী বাক্স'-এর সন্ধানে এবার তপন সিংহ ও অরুন্ধতী দেবীর ছেলে অনিন্দ্য় সিংহ। বেঙ্গালুরুতে থাকেন বৈজ্ঞানিক অনিন্দ্য সিংহ, সম্প্রতি নন্দনে তাঁর অভিনেত্রী-পরিচালক মা অরুন্ধতী দেবীর আসন্ন শতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য এসেছিলেন তিনি। সেখানেই জানা যায়, তিনি নাকি 'পদি পিসির বর্মী বাক্স'-এর একটি প্রিন্ট হন্যে হয়ে খুঁজছেন। অরুন্ধতী দেবীর পরিচালিত এই ছবিটির নাকি একটি প্রিন্টও কোথাও নেই। 

আরও পড়ুন, Manasi Sinha: ২৬ লাখ টাকার প্রতারণা! অটোগ্রাফ দিয়ে বিপাকে মানসী সিনহা...

১৯৭২ সালে অরুন্ধতী দেবীর তৈরি এই বাংলা অ্যাডভেঞ্চার কমেডি ছবি লীলা মজুমদারের লেখা ছোটদের উপন্যাস। আর সেই সিনেমারই কিনা একটি প্রিন্টও নেই। পরিচালকের প্রথম এবং একমাত্র হোম প্রোডাকশনের ছবির একটিও প্রিন্ট এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনিন্দ্য সিংহ আবেদন করেছেন দূরদর্শনে প্রদর্শিত হওয়ার সময় যদি ছবিটির একটি সংস্করণও কেউ রেকর্ড করে থাকে তাহলে যদি সেখান থেকে প্রিন্ট পাওয়া যায়।

ঘটনাক্রমে, তার বাবা তপন সিংহ পরিচালিত 'ক্ষুধিত পাষাণ'-এর একটি প্রিন্টও এইভাবেই উদ্ধার করা হয়েছিল কারণ কোনওভাবে এই ছবির আসল প্রিন্টও পুড়ে যায়। টাইম অফ ইন্ডিয়াকে অরুন্ধতী দেবীর ছেলে বলেন, 'বাংলা সিনেমা জগতে অভিনেতা-সুরকার অরুন্ধতী দেবী পরিচালনাতেও উৎসাহী ছিলেন। ১৯৫৯ সালে, তার 'মেঘ ও রৌদ্র' ষষ্ঠ মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রধান প্রতিযোগিতায় ছিল। প্যারালাইটিক স্ট্রোকের পরেও, তিনি 'দীপার প্রেম' এবং 'গোকুল' নামে দুটি ছবি পরিচালনা করেন। সে সময়ে যখন নারীরা প্রান্তিক ছিল এবং সমাজ-সিনেমা এসবে নারীদের অবজ্ঞার চোখে দেখত, তখন মা একজন শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন। তার বয়স মাত্র ৩৫ বছর যখন সে তার স্বামীকে ছেড়ে তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে এবং আমার সঙ্গে বাইরে চলে গিয়েছিল। তখন আমার বয়স মাত্র নয় মাস। তিনি নিজের জন্য একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন এবং সিনেমায় ফিরেছিলেন। মা, আমার কাছে দৃঢ় নারীত্বের প্রতীক।'

অরুন্ধতীর পরিচালনায় ছায়া দেবীর অসামান্য অভিনয় পদি পিসির বর্মী বাক্সের অন্য ইউএসপি। ১৯৭২-এ মুক্তি পাওয়া  রাধা এবং পূর্ণা ছবির জন্য অরুন্ধতী দেবী সঙ্গীত রচনা করেছিলেন। তিনি যে প্রোডাকশন হাউস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার নাম ছিল অনিন্দ্য ছবি তার ছেলের নামে। প্রসঙ্গত, পদি পিসির বর্মী বাক্স- ছবিতে ছায়া দেবী ছিলেন পদি পিসির ভূমিকায়। অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায় দস্যু খুড়োর চরিত্রে, রবি ঘোষ প্রাইভেট গোয়েন্দার ভূমিকায়। এছাড়াও ছিলেন জহর রায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, চিন্ময় রায়, নৃপতি চট্টোপাধ্যায়, হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, কেতকী দত্ত, রাজলক্ষ্মী দেবী, মৃণাল মুখোপাধ্যায়, তপতী ঘোষ, নির্মল কুমার। 

 

আরও পড়ুন, Azmeri Haque Badhon: আদালত ও একটি মা! ইতিহাস গড়লেন বাঁধন...

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More