Home> বিনোদন
Advertisement

সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ছবি রমন রাঘব টু পয়েন্ট জিরো

শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে অনুরাগ কাশ্যপের নতুন ছবি রমন রাঘব টু পয়েন্ট জিরো। সত্য ঘটনায় আধারিত এই ছবি। ষাটের দশকের সিরিয়াল কিলার রমন রাঘবের জীবনই ফুটে উঠবে পর্দায়। কে এই রমন রাখব? কেন এত বিধ্বংসী রমন? নিরপরাধ ৪১ প্রাণ কেন সে কেড়ে নিয়েছিল? ছবি মুক্তির আগে দেখে নেব আসল রমন রাঘবকে।

সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ছবি রমন রাঘব টু পয়েন্ট জিরো

ওয়েব ডেস্ক: শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে অনুরাগ কাশ্যপের নতুন ছবি রমন রাঘব টু পয়েন্ট জিরো। সত্য ঘটনায় আধারিত এই ছবি। ষাটের দশকের সিরিয়াল কিলার রমন রাঘবের জীবনই ফুটে উঠবে পর্দায়। কে এই রমন রাখব? কেন এত বিধ্বংসী রমন? নিরপরাধ ৪১ প্রাণ কেন সে কেড়ে নিয়েছিল? ছবি মুক্তির আগে দেখে নেব আসল রমন রাঘবকে।

কোনও আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন নয়, নয় কোনও গ্যাংস্টার। রমন রাঘব ছিল একজন মনোরোগী। যার মাথায় ভর করেছিল শুধুমাত্র খুন। যার জন্য সে কেড়ে নিয়েছিল ৪১টি প্রাণ। ১৯১৯-এ পুনায় জন্ম রমনের। ছোটবেলা থেকে কোনও রোগ ছিল না তাঁর। তবে চুরি করার বদঅভ্যাস ছিল। যার কারণে পড়াশোনা করা হয়ে ওঠেনি। ষাটের দশকের মুম্বই ছিল রমনের শিকার। শুধুমাত্র ঝুপড়িবাসী আর ফুটপাথবাসীরাই ছিল রমনের টার্গেট। ধারহীন লোহার রডের মতো অস্ত্রের সাহায্যে ঘুমন্ত লোকের মাথায় বার বার আঘাত করে খুন করত রমন। মহিলাদের ক্ষেত্রে ধর্ষণ করে খুন করত। এই ধরনের চরিত্র করতে নওয়াজঊদ্দিন সিদ্দিকি কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছিলেন?

এরকম বেশ কিছু খুনের পর রাতে খুন করে এমন লোকের সন্ধান শুরু করে পুলিস। কৃতিকা নামের এক আহত মহিলার বয়ানের ভিত্তিতেই শুরু হয় খোঁজ। ১৯৬৮-তে সিআইডি, ডেপুটি কমিশনার রমাকান্ত কুলকার্নির ধরপাকড়ে রমনকে ধরা সম্ভব হয়। পুলিসের কাছে প্রথমে রমন মুখই খোলেননি। অনেক প্রশ্নের পর সে কিছু আর্জি জানায় পুলিসের কাছে। সুস্বাদু চিকেনের ডিশ, মাথায় মাখার তেল, চিরুনি আর আয়না। মনোবাঞ্ছা পূরণের পর ২৩টি খুনের কথা স্বীকার করে নেয় রমন। নিজে মুখেই বলে কিভাবে খুন করত সে। বাকিগুলো তার মনেই পরেনি। তিন মনোবিজ্ঞানীর টিম রমনকে মানসিক রোগী বলে ঘোষণা করে। স্কিত্‍জোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ছিল সে। আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় তাকে। ১৯৯৫-এ কিডনির সমস্যায় মারা যায় রমন রাঘব।

রমন রাঘবকে নিয়ে ছবি হলেও আসল রমনকে কি পর্দায় তুলে ধরতে পেরেছেন নওয়াজ? তা দেখার জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে ২৪শে জুন অবধি।

Read More