Anirban Bhattacharya, Pathaan, Shah Rukh Khan, সৌমিতা মুখোপাধ্যায়: হার মানতে জানেন না শাহরুখ খান। তাই তো বারংবার ফ্লপের মেঘ যখন ঢেকে দেয় তাঁর জৌলুস, তখন তখনই তা ভেদ করে বেরিয়ে এসে নিজের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠেন বলিউডের অপ্রতিরোধ্য বাদশা। ৫৭তেও তিনি প্রমাণ করে দিলেন যে, তিনি সত্যিই অপ্রতিরোধ্য রিলিজের প্রথম দিন থেকে বক্স অফিসে নানা বিধ রেকর্ড ভেঙেছে শাহরুখের ‘পাঠান’। দ্বিতীয় সপ্তাহে বক্স অফিসে একে একে রেকর্ড ভাঙছে এই ছবি। ব্যবসার নিরিখে এই ছবি এযাবৎ কালের সেরা দ্বিতীয় ছবি। শাহরুখের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখে গেছে অনেক তারকাকেই। জি ২৪ ঘণ্টার কাছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, তাঁকে অনুপ্রাণিত করেন শাহরুখ। এবার সেইরকমই গুণগান শোনা গেল অনির্বাণ ভট্টাচার্যের মুখে।
আরও পড়ুন- Soham Chakraborty: ‘আমি TMC-র বিধায়ক তাই সেন্সর বোর্ডের কোপে LSD’, বিস্ফোরক অভিযোগ সোহমের
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের তরফ থেকে পাঠান ও শাহরুখ খান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বিরাট ঘটনা। আমি শুধু ভাবছিলাম, কী সহ্য করেছে লোকটা? প্যান্ডেমিকের মাঝে কী কী অপবাদ সহ্য করেছে লোকটা। এসব দিনগুলোর কথা ভাবছিলাম। সবাই তো শুরুটা নিয়ে মেতে থাকে। যেদিন পাঠান রিলিজ করল, মালা পরল, অনেক কিছু হলো, সেদিনই ভাবছিলাম কী কী সহ্য করেছে? আমি বিষয়টাকে প্রতিশোধ হিসাবে দেখছি না। একটা মানুষের ফান্ডামেন্টাল ভালোবাসার প্রতি কী বিশ্বাস! আমি জানি যে, যে যাই বলুক, যাই হোক দেশের মানুষ আমায় ভালোবাসে। এই যে একজন ৫৭ বছরের লোক, এমন চেহারা করেছে, সেগুলো সবই ঠিক আছে। এটা তো সত্যিই বানিজ্যিক ছবির জন্য দরকার কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও লোকটার যে বিশ্বাস। আমরা কত ছোট ছোট বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে ফেলি। বলি এটা আমার সাথে অন্যায় হয়েছে, এটা আমার সঙ্গে ঠিক হয়নি। অথচ একটা ১৪০ কোটির দেশের মধ্যে এত খারাপ সময় পেরোনোর পরেও মানুষের প্রতি কি অগাধ আস্থা? আমার ধারণা রবীন্দ্রনাথের উক্তি মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ একমাত্র কমপিট করতে পারে শাহরুখ খান। আমরা বাঙালি, রবীন্দ্রনাথ আমাদের কবি, আমরা পারিনি। শাহরুখ খান পেরেছেন। একজন পাঠান পেরেছেন রবীন্দ্রনাথের কথা সত্যি প্রমাণ করতে।’
অনির্বাণ আরও বলেন, ‘এটা একটা ইতিহাস। এক তো ছবি তিনশো কোটি, চারশো কোটি করে যাচ্ছে। তবে পাঠান থেকে আমার শিখলাম যে, একটা লোকের কী অগাধ আস্থা দেশের মানুষের প্রতি। তোমরা যাই করো না কেন, আমি জানি মানুষ আমাকে ভালোবাসে। সিনেমা সবসময়ই সবাইকে একত্রিত করে এসেছে। আমাদের সিনেমার ইতিহাস কখনই রাজনৈতিক নয়। আমাদের ভারতীয় সিনেমা সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক ও অরাজনৈতিক। এতগুলো প্রদেশের মানুষকে, এতগুলো ভাষাকে ভারতীয় সিনেমা একত্র করেছে। ইদের রিলিজে হিন্দুরা সিনেমা দেখতে গেছে। দুর্গাপুজোর রিলিজে মুসলমানেরা দেখতে গেছে। এটাই আমাদের দেশ। বলিউড যে আমাদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে, তা এমনি এমনি নয়। কারণ ওরা কাজের মধ্য দিয়ে এই সাম্প্রদায়িকতাকে রিপ্রেজেন্ট করে।’